খালেদার নির্দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা : প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা: আ’লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং যারা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না করলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিনেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কেউ কেউ জাল ভোটের কথা বলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন। যারা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চান না তারাই এ সব কথা বলছেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের এক বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি নির্বাচনে অংশ নেননি ভাল কথা, কিন্তু আপনাকে সংখ্যালঘু এবং সাধারণ ভোটারদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আর তা বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনি সঙখ্যালঘুদের হামলার উসকানি দিচ্ছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, এসব ঘৃণ্য কাজে যারা জড়িত তাদের ধরতে যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংসতা চালিয়ে নির্বাচন যখন আটকাতে পারেন নি, কোনোকিছুই আটকাতে পারবেন না। ক্ষমতায় থেকে যা নেওয়ার নিয়েছেন। এখন দেশকে ধ্বংস করছেন। ব্যবসায়ী তো বিএনপিরও আছে। বিএনপির যারা ব্যবসা বাণিজ্য করেন তারাও কি চোখে কিছু দেখেন না।
তিনি বলেন, প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন যখন আটকাতে পারেন নি সেখানে কোনো কিছুই আটকাতে পারবেন না। উন্নত বিশ্বেই খুব কম দেশেই এত শতাংশ ভোট পড়ে। মিডিয়াকে বলবো আপনারা দয়াকরে সঠিক তথ্য প্রকাশ করুন। আর বিএনপিকে বলবো জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করে আলোচনায় আসুন।
মিডিয়ার প্রতি তিনি আরও বলেন, আপনাদের উচিত গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রেখে কাজ করা। অবশ্য কিছু কিছু মিডিয়ার অগণতান্ত্রিক হলেই কদর বাড়ে। বাংলাদেশে প্রাইভেট চ্যানেল অনুমতি দেওয়া সাহস আমরাই প্রথম দেখিয়েছি। এতে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের কর্মসংস্থানের নতুন অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় তা আমরা জানি। কিন্তু এ জন্য আপনাকে জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গ ছাড়তে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণকে কষ্ট দেবন না। আলোচনার দরজা খোলা আছে। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছেড়ে আলোচনা করতে আসলে অভিনন্দন জানাবো।”