বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য ভারত উদ্বিগ্ন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা, সীমান্ত উত্তেজনা আর মৌলবাদ নিয়ে নয়াদিল্লিকে সতর্ক করেছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক আজকাল। মঙ্গলবার ‘জাগো দিল্লি’ শিরোনামে পত্রিকাটি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতকে আরো কৌশলী অবস্থান নিতে পরামর্শ দিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে।
আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য আজকালের সম্পাদকীয় হুবহু তুলে ধরা হল : পাশের বাড়িতে (বাংলাদেশে) আগুন লেগেছে, এখনই জল ঢালতে না পারলে সে আগুন আমাদেরও (ভারতের) ঘর পোড়াবে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভারতের কাছে প্রতিদিনই আরও বেশি উদ্বেগের হয়ে উঠছে। স্বাধীনতা পেলেও বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ উপলব্ধি করতে পারেননি।
শেখ হাসিনা থোড় বড়ি খাড়ার পথ নিতে পারতেন, কিন্তু‘ মৌলবাদীদের মুঠো থেকে দেশকে রক্ষা করতে সাহসী পদক্ষেপই গ্রামাঞ্চলে লুটপাট চালাবে মৌলবাদীরা- এটা হয়ে উঠেছিল নিত্য নৈমিত্তিক। দুর্বল, সংখ্যালঘুদের জমি-সম্পত্তি গ্রাস করার এই চক্রে শাসক, বিরোধী সব দলেরই বাহুবলীরা মিলেমিশে একাকার। এই ছক ভাঙার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা, করতেই হত, তাছাড়া উপায় ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘাতকরা বাংলাদেশের সমাজজীবনে রক্তবীজের মতো, এদের সমূলে বিনাশ না করলে মুক্তি নেই, এই সার কথাটি বুঝেছেন হাসিনা। স্বভাবতই জামায়াত এবং ইসলামী ছাত্র শিবির নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, নেমেছে পরিকল্পিত সন্ত্রাসের পথে। সব থেকে উদ্বেগের বিষয়, ক্ষমতায় আসতে মৌলবাদীদের হাত ধরতে গিয়ে বিরোধী রাজনীতির লাগাম হারিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
সমস্যা এই যে, বিরোধী শক্তি সংহত এবং গঠনমূলক না হলে গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই ভারতের দায়িত্ব আরও বেড়েছে, বাংলাদেশের শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষকেই বন্ধু মনে করে আলোচনার বাতাবরণ সৃষ্টি করতে হবে। ওপার বাংলার (বাংলাদেশের) ৯টি জেলায় এখন যে পরিস্থিতি, তা আরও খারাপ হলে বিপর্যয় নেমে আসবে এপার বাংলাতেই (ভারতে)।
আরও একবার শরণার্থীর ঢল বুকে নেওয়ার মতো ক্ষমতা পশ্চিমবঙ্গের আছে কি ? ব্রিটেন, আমেরিকার দায় নেই, তারা আবার নির্বাচনের দাবি জানিয়েই খালাস। তাদের কথা না শুনলেই আর্থিক অবরোধ! এই পদ্ধতিতে দুনিয়ার কোনও দেশে তারা শান্তি ফেরাতে পারেনি, তবু ভবি (ভবিষ্যৎ) ভোলবার নয়। এই মুহূর্তে সক্রিয় হতে হবে দিল্লিকে, প্রতিবেশী রাজ্যে মৌলবাদীরা মাথা তুললে এদেশে (ভারতে) তাদেরই যে পোয়াবারো।