standard-insদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সরকার নির্ধারিত পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিনিময়ে অনিয়মের কারণে বাতিলকৃত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের লাইসেন্স পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। গত ১৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি আইডিআরএ পাঠানো হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ গত রোববার কোম্পানির মুখ্য নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে। আইডিআরএ,র অফিসার মোহাম্মদ আবু মাহমুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পুনঃবীমার নিয়ম ভঙ্গ করায় ২ লাখ ৫০ হাজার করে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জানা গেছে, এখন কোম্পানির পক্ষ থেকে নতুন করে আইডিআরএ’র কাছে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে। শুনানির পর নতুন করে আর অনিয়ম করবে না এই মুচলেকা দিয়ে লাইসেন্স নিবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এর আগে অনিয়মের কারণে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আইডিআরএ কোম্পানিটির লাইসেন্স বাতিল করে।

জানা যায়, বাতিলকৃত লাইসেন্স ফিরে পেতে সরকারের কাছে আবেদন জানায় স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কোম্পানিটির লাইসেন্স পুনরায় দেয়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোম্পানিটির সঙ্গে অসংখ্য বিনিয়োগকারী ও বীমাগ্রহীতার ভাগ্য জড়িয়ে রয়েছে। সে বিষয় চিন্তা করে সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের স্থগিত লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।

এর আগে, পুনঃবিমা সংক্রান্ত ব্যাপক অনিয়মের কারণে গত বছরের ২১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স স্থগিত করে আইডিআরএ। পরে কোম্পানি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আইডিআরএ’র নির্দেশনা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় আইডিআরএ। পরে চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। গত ৩০ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে আইডিআরএ’র সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেন আপিল বিভাগ।

২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা দুই কোটি ৯৫ লাখ ৭২ হাজার ১৫৭। এরমধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫২.৪০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৭.৫৭ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে অবশিষ্ট ১০.০৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।