kaderদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে প্রস্তাব (ফর্মুলা) দিয়েছেন তা চর্বিত চর্বণ এবং অন্তঃসারশূন্য।

তার ৪৫ মিনিটের বক্তব্যে নতুন কিছু নেই। তার প্রস্তাবে এমন কিছু উঠে এসেছে যা ইতিমধ্যে আমাদের সংবিধান ও নির্বাচন আইনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অন্তঃসারশূন্য বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে জনগণের ওপর তার কোনো আস্থা নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। এক্ষেত্রে সংবিধান মেনেই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। অথচ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি ও খালেদা জিয়া বিতর্ক সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাব দিতেই এই সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার ফর্মুলা অন্তঃসারশূন্য। তিনি জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন। তাঁর সংলাপের আহ্বান হাস্যকর।

এর আগে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সত্, সাহসী, অবাধ ও সুষ্ঠু স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।

জবাবে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের যে প্রক্রিয়া দেখিয়ে গেছেন, সেখান থেকে আওয়ামী লীগ বিচ্যুত হবে না, হওয়ার কোনো সুযোগও নেই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ভালো বা গ্রহণযোগ্য কিছু থাকলে সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রতি। তিনি কাকে ডাকবেন বা ডাকবেন না, সেটা একান্ত তাঁর বিষয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তাদের নেত্রী ভুল রাজনীতির কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এখন মিথ্যাচার করছেন। জনগণের কথা না ভেবে তারা এখন কোন দেশে কে ক্ষমতায় এল তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। জনগণের ভোটে বিএনপির বিশ্বাস নেই। গত নির্বাচন তারা প্রতিহত করতে চেয়েছিল। এ জন্য পেট্রোলবোমার আগুনে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।