kader_27063নিজস্ব প্রতিবেদক: কথা রয়েছে, নতুন ধারার রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিশন-২০৩০ নিয়ে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এর লক্ষ্যটা কী? এর লক্ষ্যটা হচ্ছে হাওয়া ভবনের মতো আরেকটা খাওয়া ভবনের ভিশন। এটাই হচ্ছে ভিশন ২০৩০।

রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কোনো হাওয়া ভবন নেই, খাওয়া ভবন নেই। কোনো খোয়াব ভবনও নেই। আমাদের ভিশন ২০২১, আমাদের ভিশন ২০৪১। এখন আমরা দেখছি, আমাদের দেখাদেখি পাল্টাপাল্টি লোক দেখানো একটা ভিশনের কথা শুনতে পাচ্ছি। সেটা না কি ভিশন ২০৩০।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কিছু করলে সেটার পাল্টাপাল্টি কিছু করতে হবে। তাই এটাকে আমি বলবো, একটা ‘পলিটিক্যাল স্ট্যান্ডবাজি’। এই স্ট্যান্ডবাজি বাংলাদেশের লোক ভালোই বোঝে। ডিজিটাল বলতে বাংলাদেশের লোক জয়কে চেনে। এ জন্য জয়কে তারা ভয় পায়, তার মেধাকে তারা ভয় পায়।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় সংসদ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে কিভাবে ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় অ্যাকাউন্ট খোলা যায়, কনটেন্ট তৈরি করে দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিভাবে জনগণের সঙ্গে কার্যকরী দ্বিমুখী যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়।

এছাড়া অনলাইনে কিভাবে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়, অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করা যায়, অনলাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অন্যান্য বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

রিসোর্স ফান্ড হিসেবে এ কর্মশালা পরিচালনা করছেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পের সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম, সিআরআইএ-এর সহকারী সমন্বয়ক প্রকৌশলী তন্ময় আহমেদ এবং পলিসি এনালিস্ট ব্যরিস্টার শাহ আলী ফরহাদ। আগামী ৮ ও ৯ মে আরও ১০০ জন সংসদ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।