DSC_0129

‌দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : সঞ্চয়পত্রের উচ্চ মুনাফার হার সরকারের সুদ ব্যয়ভার বাড়াবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের সঞ্চয়পত্রগুলোর বাজার সুদহারের সঙ্গে সংগতিহীন উচ্চ মুনাফা হার সরকারের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ভার সৃষ্টি করবে।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এস কে সুর চৌধুরী, প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো.আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ মুনাফার হার সরকারের সুদ ব্যয়ভার বাড়াবে। এছাড়া মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বন্ড বাজারের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে।

তিনি বলেন, এর ফলে মুদ্রানীতির কার্যকারিতার জন্য দরকারি সুষ্ঠু ট্রান্সমিশন চ্যানেলের বিকাশ্ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অচিরেই সঞ্চয়পত্রগুলোর মুনাফা হার বিদ্যমান বাজার সুদহারের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে হবে।

গভর্নর বলেন, সঞ্চয়পত্র মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদের একটু একটু সঞ্চয় একদিন উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করে। এই জন্য সঞ্চয়পত্র সুদের হার নিয়ে সরকার অনেক চিন্তাভাবনা করছে; বিশেষ করে এটাকে একটি বিধিবদ্ধ ও যৌক্তিক হারের মধ্যে আনার ব্যাপারে প্রচেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া যেতে পারে কিংবা আমাদের আউটলেটগুলোতে ক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সংযুক্তি থাকতে পারে। যাতে ১ জনে অধিক কিনছেন কি না তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪ ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। এসব সঞ্চয়পত্রে সর্বনিম্ন সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে ব্যাংকে আমানতের মেয়াদ ভেদে ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যায়।

বাজেট ঘোষণার আগে থেকেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর কথা বলে যাচ্ছেন।