pm-hasinaদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আগামী মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবো কিনা জানি না। ক্ষমতায় আসি বা না আসি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি যেন থেমে না যায়। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট (কেআইবি) সেমিনার হলে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। এদেশের মানুষ ভিক্ষা করবে এটাই ছিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের উদ্দেশ্য। যাতে বিদেশ থেকে ভিক্ষা আনা যায়। আর যেন বাংলাদেশকে ভিক্ষার হাত না বাড়াতে হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জমির সীমাবদ্ধতার পরও পরিকল্পনার কারণে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ দেশ এগিয়ে যাক এটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তিন দফা সারের দাম কমিয়েছে। বর্গা চাষীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার নেয়া সব উন্নয়ন পরিকল্পনা বন্ধ করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। আমরা ১শ বছরের ডেলটা প্লান নিয়েছি, যাতে দেশ এ সময়ে আধুনিক রাষ্ট্রের রূপ নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নিজেদের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা বাড়াতে হবে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করলেও হবে না মজুদ রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য মজুদ রাখার জন্য আধুনিক খাদ্য গুদাম তৈরির কাজ করছি। যাতে দুই থেকে তিন বছরর খাদ্য মজুদ রাখা যায় । ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ করা সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদ্যুৎ ও রাস্তা উন্নয়ন করার কারণে খাদ্য বাজারজাতকরণ বেড়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি যাতে এক ফোঁটা জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।

কৃষি উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর অল্প সময়ের মধ্যে জাতির পিতা এ দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তার নেওয়া সব উন্নয়ন পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয় জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারও।

কখন বিপদ আপদ আসে, বলা যায় না। একটা ফসলের ওপর নির্ভর করলে হবে না। বহুমুখী ফসল চাষাবাদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিপদের সময় যাতে খাদ্য সরবরাহ করতে পারি, যেজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।

কৃষি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য নতুন করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিএনপি যখন সরকারে ছিল, সারের জন্য কৃষকদের ধরনা দিতে হয়েছে। গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন সারের জন্য ধরনাও দিতে হয় না। সারই কৃষকের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তিন দফায় সারের দাম কমিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই পরিকল্পনা করে আমরা ডেল্টা প্ল্যান করেছি। সেখানে কৃষি ও পানিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্লু-ইকোনমি শক্তিশালী করা ও সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রও করা হয়েছে।