pm-policeদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পুলিশেন উর্দ্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর হামলা ও তাদের হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। আমার এই আত্মবিশ্বাস আছে, এখন তারা যেটা চিন্তা করে পুলিশ এখন সেটা না। এখন অনেক দক্ষতা অর্জন করেছে, অনেক আত্মবিশ্বাস পুলিশের মধ্যে ফিরে এসেছে্। বৃহস্পতিবার রাতে ৮৮ জন সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সমর্থন জানাতে গণভবনে গেলে ‘ষড়যন্ত্রের’ ওই কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, খুনি, অগ্নিসন্ত্রাসীরা (বিএনপি-জামাত) এর আগে পুলিশকে যেভাবে হত্যা করেছে, সেটা চিন্তাও করা যায় না। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, পিটিয়ে পিটিয়ে মারা-এত জঘন্য কাজ তারা করতে পারে! এখনো শুনি, নির্বাচন সামনে রেখে নাকি তাদের মূল টার্গেটই হবে, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কিছু মেরে ফেলে দেবে।

তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কঠিনভাবে করে চলেছে। সেটা যদি তারা না করত, সন্ত্রাস দমন আমরা করতে পারতাম না। জঙ্গিবাদ দমন আমরা করতে পারতাম না। আজকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা যে অভিযান চালিয়েছি, সেটাতে সফল হতে পারতাম না।

পুলিশের উপর জনগণের আস্থা ‍ও বিশ্বাস আছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো দুর্যোগ আসলে মোকাবেলা করার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে। মানুষের সচেতনতাও যথেষ্ট রকম আছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের দুইটা পরিকল্পনা, এই পরিকল্পনাতো একটা ক্রিমিনাল আছে লন্ডনে, সে বসে বসে পাঠায়। একটা হচ্ছে পুলিশকে পয়সা দিয়ে হাত করা, আরেকটা হচ্ছে এদেরকে হত্যা করে এদের ডিমোরালাইজড করা, এই দ্বিমুখী পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেনের সমালোচন করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, আমাদের অনেক বড় বড় চাচারা চেষ্টা করছে। আমরাই তাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করেছিলাম, আমরাই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বলে বলে এতো কিছু করার পর এখন উনি একটা সময় তো চলেই গেলেন। এখন নৌকা থেকে নেমে গিয়ে একেবারে ধানের গোছা ধরেছেন। সেখানে গেছেন কোন আশায় আমি জানি না। তবে দুঃখ হয় যে, ওই এরা আজকে ওই যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী তাদের সঙ্গে আজকে হাত মিলিয়েছে, যাদের আমরা বিচার করলাম।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, তারা আমাদের সরকার উৎখাত করবে, এখন আবার নির্বাচন, হেনতেন, এখন নাকি আবার সরকার গঠনও করে ফেলবে। তাহলে এদেশে তো আর মুক্তিযুদ্ধের কোনো চেতনা থাকব না, উন্নয়নও থাকবে না। কারণ যারা পরাজিত শক্তি তারা চাইবে না যে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। এ সময় সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন সাবেক আইজিপি, ১৯ জন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও ২৪ জন সাবেক ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন।