দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছেন তিনি।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে ‘ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স ২০১৯’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী ২৮ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা এবং সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা ও এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত দুই বছরে মোট ৪০৮টি কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ও সাইফুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএসইসির ডিরেক্টর রেজাউল করিম সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম এ বিষয়ে বলেন, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী নিজেদের আর্থিক অবস্থা, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ না করে অন্যদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বা লোকমুখে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে থাকে। সচেতন বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য বিনিয়োগকারীকে আর্থিক শিক্ষা প্রদান অপরিহার্য।

অধিকাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী যথাযথ বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। এর ফলে বাজারে অসামঞ্জস্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা সংস্কার এবং আবেগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শুধু যে নিজেদের ভবিষ্যত বিপন্ন করে তা নয়। তাদের কার্যক্রমে পুঁজিবাজার তথা দেশের অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষায় সচেতন করতে খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে এ পর্যন্ত মোট ৪০৮টি কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে বিএসইসি। যেখানে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৫২৭ জন। এই কর্মসূচির আওতায় পুঁজিবাজারে বিদ্যমান বিনিয়োগকারী, পুজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, প্রশিক্ষক, বিচারক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আইনজীবী সাংবাদিক ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।