দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে অস্থিরতায় দিন পার করছেন বিনিয়োগকারীরা দিন যতই যাচ্ছে পতনের মাত্রা ততই বাড়ছে। এ যেন এক বোবা কান্নার রোল। সদ্য সমাপ্ত মার্চে কেনার তুলনায় ১২৩ কোটি টাকার শেয়ার বেশি বিক্রি করেছেন তারা।

বছরের প্রথম দুই মাসে শেয়ার বিক্রির তুলনায় বেশি কিনলেও তৃতীয় মাসে এসে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে। মার্চে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর মাধ্যমে বিদেশিরা প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। বিক্রি করেছেন প্রায় ৪৯৮ কোটি টাকার শেয়ার। ফলে বিদেশীদের শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ছে।

জানা গেছে, গত মাসে বিদেশিরা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি। তবে দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইর মাধ্যমে বিদেশিরা শুধু ব্র্যাক ব্যাংকের চার লাখ শেয়ার তিন কোটি ১০ লাখ টাকায় কেনাবেচা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ডিএসইর সার্বিক লেনদেন চার হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা বা ৩২ শতাংশ কমলেও বিদেশিদের মোট লেনদেন প্রায় ২২ কোটি টাকা বা আড়াই শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনে বিদেশিদের অংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে, যা গত ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৩ দশমিক ০৯ শতাংশ।

মার্চে দেশের প্রধান এ শেয়ারবাজারে সর্বমোট নয় হাজার ৩৯২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১৩ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। মার্চে ডিএসইতে মোট শেয়ার কেনায় বিদেশিদের অংশ ছিল ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে বিক্রিতে তাদের অংশ ছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

মার্চে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও থেকে বিক্রি বেশি হলেও গত বছরের একই মাসে ছিল ভিন্ন চিত্র। ২০১৮ সালের মার্চে বিদেশিরা প্রায় ৪৫৬ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে ২৯৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেন। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ করেছিলেন প্রায় ১৫৭ কোটি টাকা।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গত মাসে বিক্রি বেশি হলেও চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের হিসাবে বিদেশিরা এখনও নিট বিনিয়োগেই আছেন। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে তারা মোট এক হাজার ৪৫৭ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। বিপরীতে বিক্রি করেছেন প্রায় এক হাজার ৮২ কোটি টাকার শেয়ার। এ সময়ে এখনও নিট প্রায় পৌনে ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে বিদেশিদের।