দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের এককভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ কম। তবে সবার একত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক। এই বাজারের সুবিধা হলো বিনিয়োগকারীর দায় শেয়ার দ্ধারা সীমাবদ্ধ। আরেকটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে সহজেই বিনিয়োগ এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে স্থানান্তর করা যায়।

প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে না। এই সেক্টরে বিনিয়োগের পরিমাণ এখন ফ্ল্যাট। এটি বাড়ানোর দরকার। যা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে খুব সহজেই করা সম্ভব। বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর বড় মাধ্যম পুঁজিবাজার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৪র্থ ‘ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০১৯’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

ড. মশিউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের উত্তম সময় যাচ্ছে। আমাদের পরিসংখ্যানে সঞ্চয়ের যে উর্ধ্বগতি দেখা যায়, সে হারে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ছে না।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ করে এর সুযোগ নিতে হবে। অর্থনীতির গতি বাড়ানোর জন্য পুঁজিবাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অর্থনীতির গভীরতা বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম। সে কারণে আমরা যে কোন যেকোনো ভাবে এই বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে চাই। বিনিয়োগকারীদের স্বল্প বিনিয়োগই অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডিএসই ব্রোকারস’ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, আমরা বেশ কিছুদিন থেকেই বিনিয়োগকারীদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমাদের সাথে অর্থসূচক পরিবার যুক্ত হয় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেয়ার কেনার বিষয়ে ডিএসসি বা বিএসইসির দোষ দিলে চলবে না। শেয়ার কেনা বেচার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদেরই সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শাকিল রিজভি বলেন, যেসব কোম্পানির বাৎসরিক বিক্রয় বেশি সে সকল কোম্পানির শেয়ার কিনুন। পেইড আপ ক্যাপিটাল যত বড়ই হোক না কেন বিক্রয় না বাড়লে কোনভাবে লাভবান হওয়া যাবে না। তার ভালো হওয়ার অপেক্ষা করেও লাভ নেই।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারের কাজ হলো অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং দেশের কর্মসংস্থান তৈরি করা। এ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য এবং ছোট পুঁজির কোম্পানিগুলোর জন্যও সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। বিনিয়োগে কিছুটা পিছিয়ে পড়া পুঁজিবাজার এই এক্সপোর মাধ্যমে সচেতন বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।