দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন আলোচনা করছেন। পাশাপাশি বাজারকে কি ভাবে স্থিতিশীল রাখা যায় এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী খোঁজ খবর নিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।

বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অনেক দিন ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার পর্যবেক্ষন করছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত এক শীর্ষ কর্মকর্তা দেশ প্রতিক্ষণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যারা সূচকের উঠা-নামা নিয়ে অবগত। তারা সূচকের উঠা-নামায় চিন্তিত না। যাতে এ বিষয়ে তারা কোনকিছু জানতে চাননি।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। সেখানে একটি বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ইনভেষ্টকর্প নামের এক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। যাদের একটি প্রতিনিধি দল গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে এসেছেন। বুধবার সেই প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সার্বিক বিষয়ে এক উপস্থাপনের মাধ্যমে তথ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইনভেষ্টকর্প এর নির্বাহি চেয়ারম্যান এইচ.ই মোহাম্মদ আলরাদি, সহযোগি প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা হাজেম বেন গাছেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এশিয়া প্রধান তিমোথি মাত্তার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্লোবাল কমিউনিকেশনের প্রধান ফাইরাজ এই এমিনে ও উপদেষ্টা ইলথেম কবির এবং বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা।

প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে আইপিও প্রক্রিয়া, স্মল ক্যাপিটাল ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চায়। এর আলোকে বিএসইসির চেয়ারম্যান তাদেরকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সার্বিক বিষয়ে অবগত করেন। আর আগামি ১ মাসের মধ্যে স্মল ক্যাপিটাল চালু হবে বলেও তাদেরকে জানিয়েছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ওই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ইনভেষ্টকর্প এর ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফান্ড রয়েছে। যারা এরইমধ্যে আমেরিকা ও চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করেছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে করতে চায়। এছাড়া শেয়ারবাজার থেকে আকর্ষনীয় রিটার্নের কারনে তারা বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী।