দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সিলকো ফার্মাসিটিক্যালের লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসেবে জমা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানির আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে আজ ৭ মে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হবে। এখন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেলে শিগগিরই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে। এর আগে গত ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তন, রমনা, ঢাকায় সিলকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

সিলকো ফার্মার আবেদন সংগ্রহ করা হয় গত ৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত। ওইসময় কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য আইপিওতে ৯২৩টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন করা হয়েছে।

যা সম্প্রতি আইপিও মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা অন্য যেকোন কোম্পানির চেয়ে বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নিউ লাইন ক্লোথিংসে ৮২৮টি, তৃতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসে ৮৪৩টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন করা হয়।

এরপরে অবস্থানে থাকা এসএস স্টিলে ৮২৮টি, কাট্টালি টেক্সটাইলে ৭৭১টি ও ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসে ৭৫৭টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৯তম সভায় সিলকো ফার্মাসিটিক্যালের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

সিলকো ফার্মাসিটিক্যাল আইপিও’র মাধ্যমে ৩ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। এরমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ৫০ শতাংশ বা ১৫ কোটি টাকা। এই ১৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৯২৩টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭০ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার টাকার আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চাহিদার ১৮.০৩ গুণ বা ১৮০৩ শতাংশ আবেদন জমা পড়েছে।

কোম্পানিটি আইপিও টাকা দিয়ে কারখানা ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ডেলিভারী ভ্যান ক্রয় ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫.৪১ টাকা। ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস) হয়েছে ১.৪৬ টাকা।

উল্লেখ্য, কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, সিটিজেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।