দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসান বহন সংক্রান্ত ব্যাখ্যাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কি ধরণের পদপক্ষ নেয়া যেতে পারে সে সংক্রান্ত সুপারিশ এখনো চুড়ান্ত করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। সুপারিশ চুড়ান্ত করতে কমিটি আরও এক সপ্তাহ সময় নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার ডিএসইতে অনুষ্ঠিত তদন্ত কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে এ অতিরিক্ত সময় নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে ডিএসইর তদন্ত কমিটির একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক সূত্র জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রশ্নের জবাবে এসআই বলছে, যতো লোকসানই হোক এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড (স্বপ্ন) চালিয়ে যেতে বলেছেন কোম্পানির এজিএমে উপস্থিত শেয়ারহোল্ডারা। পাশাপাশি দেশব্যাপী শাখাও বিস্তার করতে বলেছেন তারা। তবে ডিএসই এ ব্যাখ্যাকে অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাসযোগ্য মনে করছে।

আজ তদন্ত কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চুড়ান্ত করার কথা ছিল। তবে সার্বিক বিষয় আরও খতিয়ে দেখা দরকার। এ জন্য সুপারিশ চুড়ান্ত করতে আরও এক সপ্তাহ সময় নেয়া হয়েছে। ১ সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ চুড়ান্ত করে ডিএসইর বোর্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে পাঠানো হবে। সেখানে স্বপ্নকে বন্ধ করার সুপারিশ থাকবে। বৈঠক সূত্র বলছে, লোকসানী সাবসিডারি কোম্পানি বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা বিএসইসি রাখে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের গত কয়েক বছরের আর্থিক বিবরণীর তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে গত ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়াকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি মো. রকিবুর রহমান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, স্বতন্ত্র পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী, প্রফেসর ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আবদুল মতিন পাটোয়ারী।

৯ মাসে (জুলাই’১৮-মার্চ’১৯) কোম্পানির কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৮ টাকা ৬৪ পয়সা। আর ৩ মাসে প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ২৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৯৩ পয়সা।