দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড বাদে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জুন ক্লোজিং কোম্পানির সংখ্যা ২১৪টি। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মুনাফায় রয়েছে ১৭৬টি কোম্পানি এবং লোকসান গুণছে ৩৮টি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইতিমধ্যেই জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলো তাদের হিসেব-নিকেশ সমাপ্ত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। আগামী আগস্ট মাস থেকেই জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড আসা শুরু হয়ে যাবে। আর ভালো ডিভিডেন্ডের আশায় তালিকাভুক্ত জুন ক্লোজিং হওয়া কোম্পানিগুলোর দিকে মুখিয়ে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

এর মধ্যে সিমেন্ট খাতে থাকা ৭ কোম্পানির মধ্যে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডে হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ৫ কোম্পানি। এগুলো হলো: মেঘনা সিমেন্ট, আরামিট সিমেন্ট, কনফিডেন্স সিমেন্ট, এমআই সিমেন্ট এবং প্রিমিয়াম সিমেন্ট লিমিটেড।

সিরামিক খাতে থাকা ৫ কোম্পানির মধ্যে আরএকে সিরামিকের হিসাব বছর শেষ ৩১ ডিসেম্বর হবে। এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ৪ কোম্পানি। এগুলো হলো: ফু-ওয়াং সিরামিক, মুন্নু সিরামিক, শাইন পুকুর সিরামিক এবং স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড।

প্রকৌশল খাতে থাকা ৩৮ কোম্পানির মধ্যে সিঙ্গার বিডির হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে থাকা ৩৭ কোম্পানির রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: আফতাব অটোমোবাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, এ্যাপোলো ইস্পাত, এটলাস বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বিবিএস, বিবিএস ক্যাবলস, বিডি অটোকার্স, বিডি ল্যাম্পস, বিডি থাই, বেঙ্গল উন্ডসোর, বিএসআরএম স্টীল, বিএসআরএম লিমিটেড, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, গোল্ডেন সন, জিপিএইচ ইস্পাত, ইফাদ অটোস,

কে অ্যান্ড কিউ, কেডিএস এক্সসরিজ, মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, নাভানা সিএনজি, ন্যাশনাল পলিমার, ন্যাশনাল টিউবস, অলেম্পিক এক্সসরিজ, ওয়াই ম্যাক্স, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ,

রংপুর ফাউন্ডিং, রেইনউইক, আরএসআরএম স্টিল, রানার অটোমোবাইল, এস আলম কোল্ড রোল্ড, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, এসএস স্টিল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপওর্য়াড, এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড। আর্থিক খাতের কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে থাকা ১৭ কোম্পানির মধ্যে একমাত্র বিট্রিশ আমেরিকান টোবাকো বাদে সব কোম্পানি হিসাব বছর শেষ জুন মাসে। বিট্রিশ আমেরিকান টোবাকোর হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ১৬ কোম্পানি।

এগুলো হলো- এএমসিএল(প্রাণ), এপেক্স ফুডস, বঙ্গজ, বিচ হ্যাচারী, এমারাল্ড অয়েল, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুড, জেমিনী সী ফুড, গোল্ডেন হাভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল টি, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আরডি ফুড, শ্যামপুর সুগার এবং জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে থাকা ১৯ কোম্পানির মধ্যে লিন্ডে বিডির হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ১৮ কোম্পানির। এগুলো হলো-বারাকা পাওয়ার, বিডি ওয়েল্ডিং, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ডেসকো, ডোরিন পওায়ার, ইস্টার্ন লুবিকেন্টস,

জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন , যমুনা অয়েল, খুলনা পাওয়ার, এমজেএল বিডি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, পাওয়ার গ্রীড, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

বিবিধ খাতের ১৩ কোম্পানির মধ্যে বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ বাদে বাকী সব কোম্পানি জুন ক্লোজং। বার্জার পেইন্টে হিসাব বছর শেষ ৩১ মার্চ। অতএব এ খাতের ডিভিডেন্ড ঘোষণা বাকী ১২ কোম্পানি হলো: আমান ফিড, আরামিট লিমিটেড, বেক্সিমকো লিমিটেড,

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জিকিউ বলপেন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভ্যান ব্যাগ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, সিনো বাংলা ইন্ডস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস এবং উসমানিয়া গøাস শীট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

ওষুধ খাতের ৩২ কোম্পানির মধ্যে গø্যাক্সেস্মিথক্লিন বাংলাদেশ, ম্যারিকো এবং রেকিট বেনকিজারের বাদে বাকী ২৯ কোম্পানির হিসাব বছর শেষ ৩০ জুন। এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী থাকা কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই লিমিটেড, এসিআই ফরমুলেশন, একমি ল্যাম, একটিভ ফাইন কেমিক্যাল, অ্যাডভেন্ট ফার্মা,

এএফসি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, এ্যাম্বি ফার্মা, বিকন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, সেন্টাল ফার্মাসিটিক্যাল, ফার কেমিক্যাল, গেøাবাল হেভি কেমিক্যাল, ইবনে সিনা, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, ইমাম বাটন, জেএমআই সিরিঞ্জ, কেয়া কসমেটিকস, কহিনূর কেমিক্যাল, লিবরা ইনফিউশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ফার্মা এইডস, রেনেটা, সালভো কেমিক্যাল, সিলকো ফার্মা, সিলভা ফার্মা, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এবং ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেড।

বস্ত্র খাতের ৫৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকি আছে। এগুলো হলো: আমান কটন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনলিমা ইয়ান, এ্যাপেক্স স্পিনিং, আরগণ ডেনিমস, সিএনএ টেক্সটাইল, ঢাকা ডাইং, ডেল্টা স্পিনিং, দেশ গামেন্টস, ড্রাগন সোয়েটার, দুলামিয়া কটন, এনভয় টেক্সটাইল, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, ইভিন্স টেক্সটাইল, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, জেনারেসন নেক্সট ফ্যাশন, হামিদ ফেব্রিকস,

এইচআর টেক্সটাইল, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, কাট্টলি টেক্সটাইল, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, মতিন স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস, মিথুন নিটিং, এমএল ডাইং, নিউ লাইন, নূরানী ডাইং, প্যাসিফিক ডেনিমস, প্রাইম টেক্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, রহিম টেক্সটাইল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং, সাফকোং স্পিনিং, সায়হাম কটন,

সায়হাম টেক্সটাইল, শাশা ডেনিমস, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সিমট্রেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্কয়ার টেক্সটাইল, স্টাইল ক্রাফট, তাল্লু স্পিনিং, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, তুং হাই নিটিং, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, জাহিন স্পিনিং এবং জাহিন টেক্সটাইল লিমিটেড।

চামড়া খাতের ৬ কোম্পানির বাটা সুর হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: এ্যাপেক্স ফুট, এপেক্স ট্যানারী, ফরচুন সুজ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার এবং সমতা লেদার কমপেক্স লিমিটেড।

টেলিকমিকেশন খাতের গ্রামীণফোনের হিসাব বছর শেষ ৩১ ডিসেম্বর। অতএব এ খাতে ১ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী রয়েছে। কোম্পানিটি হলো: বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেড। সেবা ও আবসন খাতের ৪ কোম্পানি রয়েছে।

এগুলো হলো: ইস্টার্ন হাউজিং, সাইফ পাওয়ার টেক, শমরিতা হসপিটাল এবং সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড। ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৪ কোম্পানি রয়েছে। এগুলো হলো- বিডি সার্ভিস, পেনিনসুলা চিটাগাং, ইউনিট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েস লিমিটেড।

এছাড়া আইটি খাতের ৯টি কোম্পানি রয়েছে। এগুলো হলো: আমরা নেটওর্য়াক, আমরা টেকনোলজি, অগ্নি সিস্টেমস, বিডিকম অনলাইন, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, জেনারেশন নেক্সট, ইনটেক অনলাইন, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওর্য়াক এবং আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেড।

জুট খাতের ৩টি কোম্পানি রয়েছে। এগুলো হলো: জুট স্পিনিং, নদার্ণ জুট এবং সোনালী আঁশ লিমিটেড। পেপার ও প্রিন্টিং খাতের ৩টি কোম্পানি রয়েছে। এগুলো হলো: বসুন্ধরা পেপার মিলস, হাক্কানী পাল্প এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।