দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোনাস লভ্যাংশ এবং রিটেইনড আর্নিংস-রিজার্ভের ওপর ট্যাক্সারোপের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৯-২০২০) তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোনাস লভ্যাংশ এবং পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি রিটেইনড আর্নিংস-রিজার্ভের ওপর ১৫ শতাংশ ট্যাক্সারোপের যে কথা বলা হয়েছে, তা পুন:বিবেচনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রতিষ্ঠানটি একটি লিখিত প্রস্তাব প্রেরণ করেছে।

বিএসইসির প্রস্তাবনায় বলা হয়, যদি ট্যাক্সারোপ করতেই হয় তাহলে বিদ্যমান রিজার্ভের ওপর নয় বরং আগামী বছরের রিটেইনড আর্নিংস-রিজার্ভের ওপর ট্যাক্সারোপ করতে হবে। এছাড়া যেসব কোম্পানি ১০ শতাংশের ওপর ক্যাশ লভ্যাংশ দেবে, তাদের রিজার্ভের ওপর কোনো ট্যাক্সারোপ করা হবে না বলে প্রস্তাবনায় অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, একথা সত্য যে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দিয়ে নিজেদের রিজার্ভ বাড়িয়ে চলেছে। তাই কোম্পানিগুলোকে দায়িত্বশীলতার মধ্যে আনতে রিজার্ভের ওপর ট্যাক্সারোপের বিষয়টি একেবারে অমূলক নয়। কিন্তু বিদ্যমান রিজার্ভের ওপর ট্যাক্সারোপ করা হলে এতে অনেক বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এতে সামগ্রিক পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তাই এনবিআরের কাছে আগামী বছরের রিজার্ভের ওপর ট্যাক্সারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে যদি কোনো কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করার জন্য ন্যূনতম ১০ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দেয়, তাহলে তাদের রিজার্ভের ওপর কোনো ট্যাক্স আরোপ না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৯-২০২০) তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক লভ্যাংশ এবং পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি রিটেইনড আর্নিংস-রিজার্ভের ওপর ১৫ শতাংশ ট্যাক্সারোপের কথা বলা হয়েছে। আর এই প্রস্তাবের বিপক্ষে রয়েছেন পুঁজিবাজারের বেশিরভাগ স্টেকহোল্ডাররা। যে কারণে উল্লেখিত বিষয়টি সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্টেকহোল্ডাররা।

স্টেকহোল্ডারদের দাবির প্রেক্ষিতে বিএসইসি এ ব্যাপারে পুন:বিবেচনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বিএসইসির পাঠানো প্রস্তাবে এনবিআর বিষয়টি সুবিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।