দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য রিং সাইন টেক্সটাইল সাড়ে ৩ মাস আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে আইপিওতে আবেদন গ্রহণের জন্য অনুমোদন পায়নি। যাতে কোম্পানিটির অর্থ সংগ্রহে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া রিং সাইনের পরে কোন আইপিও অনুমোদন দেয়নি বিএসইসি। যাতে দেশের শিল্পায়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা স্থবির হয়ে রয়েছে।

এক সাক্ষাতকারে বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছিলেন, একটি দেশের শেয়ারবাজার গড়েই উঠে শিল্পায়ন ও অন্যান্য খাতে দীর্ঘমেয়াদী পুঁজি সরবরাহের জন্য। এই কাজটি করা হয় প্রাইমারি মার্কেটের মাধ্যমে। অন্যথায় পুঁজিবাজারের দরকার ছিল না। কাজেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল ও তরান্বিত করার জন্য আইপিও’র প্রয়েজিনীয়তা রয়েছে। আইপিও বন্ধ করে দিলে শিল্পায়ন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর আইপিও না থাকলে তো পুঁজিবাজারেরই দরকার পড়ে না।

গত ১২ মার্চ বিএসইসির ৬৭৯তম কমিশন সভায় রিং সাইনের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরে প্রায় সাড়ে ৩ মাস পার হয়ে গেছে। তারপরেও কোম্পানিটিকে আইপিওতে আবেদন গ্রহনের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যাতে আটকে আছে আইপিও সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ। এবং বিলম্বিত হচ্ছে টাকা সংগ্রহ।

রিং সাইনের আগে ১৯ ফেব্রুয়ারী সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। আর ২৭ মার্চ কোম্পানিটিকে আইপিওতে আবেদন গ্রহনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১ মাস ৯ দিনের মাথায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিও অনুমোদনের ১ মাস ২৫ দিনের মাথায় আবেদন গ্রহনের অনুমোদন পায়।

রিং সাইন টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করা হবে। উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং সিএপিএম এডভাইজরি লিমিটেড।