দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এতে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন মনিরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। গত শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই রাত দেড়টার দিকে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান আসেন।

শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন একটা ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে কেউ দোষীসাব্যস্ত হলে একাডেমিক ব্যবস্থা নেব। মারধরকারীরা হলেন সংসদের এজিএস আবির হোসেনের অনুসারী। তিনি বলেন, আমার গ্রুপের কেউ মেরে থাকলে আমি তাদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করব।

জানা গেছে, বুধবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের এক কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ওইসব ছাত্রকে গেস্টরুম (ম্যানার শেখানোর নামে মানসিকভাবে হেনস্তা করার আসর) ডাকেন ইমিডিয়েট সিনিয়র পলিটিক্যাল ভাইয়েরা।

এ সময় যারা প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিল না তাদের রাতে রুমে ঘুমাতে নিষেধ করা হয় এবং তাদের রুমমেটদেরও বলে দেওয়া হয়, তারা যাতে রুমে ঢুকতে না পারে। কিন্তু বড় ভাইদের নিষেধ অমান্য করে ওই শিক্ষার্থীদের রুমে ঘুমাতে দেয় তাদের রুমমেটরা।

নেতাদের নির্দেশ অমান্য করা এবং প্রোগ্রামে উপস্থিত না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে হলের ২১২ নম্বর রুমে গেস্টরুম করে প্রায় ২৫ জন প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। আহত শিক্ষার্থীরা সবাই বিভিন্ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং জিয়াউর রহমান হলের বাসিন্দা। এর মধ্যে গুরুতর আহত মুনিরকে আজ রবিবার ঢাবি চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়।