দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের বর্তমান তারল্য সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পুন:বিনিয়োগ অর্থায়নের প্রায় ৮৬ কোটি টাকা ছাড়ের জন্য চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রণোদনা স্কিমে সরকার ৮৫০ কোটি টাকার কম সুদে বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাইফুর রহমান বলেন, কমিশন প্রণোদনা স্কিমের ৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা অর্থ ছাড়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। যা শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে। এতে বাজার তারল্য সরবরাহ বাড়বে। এর আগে ২১মে প্রণোদনা স্কিমের ৭৬১ কোটি টাকা পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলা দরপতন ঠেকানোর পাশাপাশি তারল্য সংকট কাটাতে ২০১০ সালে ধসের ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর সহায়তায় ৯০০ কোটি টাকা পুন:অর্থায়ন তহবিলের ৮৫৬ কোটি টাকা চায় আইসিবি।

এরই ধারাবহিকতায় গত ২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, চলমান পুঁজিবাজারের লেনদেনে নিম্নগতির ধারা প্রতিরোধে সুদ ও আসল হিসেবে আদায়কৃত ৮৫৬ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুন:ব্যবহার ও তিনটি বিষয়ের নির্দেশক্রমে অর্থ বিভাগের সম্মতি দেওয়া হলো।

ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর জন্য পুন:অর্থায়ন তহবিলের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এই তহবিলের মেয়াদ আরো ৩ বছর বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হবে এবং শেষ বিতরণকৃত ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩১ মার্চ এই সময় পর্যন্ত।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ২০১২ সালের ৫ মার্চ প্রণোদনা স্কিমের আওতায় ৯০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করা হয়, যা ৩ কিস্তিতে ৩০০ কোটি টাকা করে আইসিবির মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও আইসিবির সমন্বয়ে গঠিত ‘তদারকি কমিটি’ তত্ত্বাবধানে এই ফান্ড বিতরণ করা হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তীতে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।