দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিতর্কিত কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু আগামী ৫ আগস্ট থেকে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানির ট্রেডিং কোড: “”COPPERTECH” ” এবং কোম্পানি কোড: ১৩২৪৭। ক্যাটাগরি হবে ‘এন’। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিতর্কিত আইপিওতে আসা বিশেষ ব্যবস্থায় লেনদেন চালু করা কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ার দর নিয়ে ফেসবুকে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। কেউ কেউ আবার কোম্পানিটিকে জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়ায় আশঙ্কা করেছেন। লেনদেনের অপেক্ষায় থাকা কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের (জুলাই‘১৮-মার্চ‘১৯) ব্যবসায় নিট মুনাফা বেড়েছে ৭ শতাংশ।

তবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমেছে ৪৬ শতাংশ। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন বা শেয়ারের তুলনায় মুনাফা কম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইপিএসে এই ধস নেমেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানির মুনাফায় এই চিত্র দেখা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামীকাল ৫ আগস্ট থেকে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে কপারটেক ইন্ডাষ্ট্রিজের লেনদেন শুরু হবে। ইতিমধ্যে কোম্পানিটি তাদের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি’১৯-মার্চ’১৯) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির পোস্ট আইপিও শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে কপারটেক ইন্ডাষ্ট্রিজের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.২৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ০.৪১ টাকা। এছাড়া আইপিও পরবর্তী ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.২০ টাকা।

এদিকে নয় মাসে (জুলাই’১৮-মার্চ’১৯) কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.৮৭ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৬২ টাকা। নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আইপিও পরবর্তী ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.৫৮ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১১.৯১ টাকা। আইপিও কার্যক্রম শেষে কপারটেকের শেয়ার সংখ্যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি।