দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শ্রীপুরে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঋণগ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। তবে শর্তজুড়ে দেয়া হয়েছে যে, এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেডকে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে। বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড একটি সরকারি লাভজনক কোম্পানি। অর্থাৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম পুঁজিবাজারে আসছে কোনো প্রতিষ্ঠান। এ কোম্পানি পুঁজিবাজারে এলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা একটি সরকারি লাভজনক কোম্পানির বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে।

আজ শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনমনীয় ঋণবিষয়ক কমিটির (স্ট্যান্ডিং কমিটি অন নন-কনসেশনাল লোন) ২৭তম সভা হয়। এ সভায় এ প্রকল্পটির ঋণগ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলা ও পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার ক্রমবর্ধমান শিল্পাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি গ্রহণ ও সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী দুটি শর্তের মাধ্যমে প্রকল্পটির ঋণগ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদন করেন। প্রথমত অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোম্পানির আর্থিক তারল্য সার্টিফিকেট নিতে হবে। দ্বিতীয়ত পূর্ণমাত্রায় পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার ছাড়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন প্রতীক্ষিত সরকারি কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে আসতে শুরু করবে। অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, এভাবেই ধীরে ধীরে সরকারি কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে চাহিদা মোতাবেক আসতে থাকবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জার্মানভিত্তিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান কেএফডাব্লিউ আইপেক্স ব্যাংক (কঋড ওচঊঢ-ইধহশ) এর কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের মার্চে সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিন বছরের প্রাপ্যতার সময়কাল বিবেচনায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে।

বি-আর পাওয়ারজেন লি. চট্টগ্রামের মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে সরকারি তহবিলে প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এ প্রকল্পটিতে আগামী জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে বিধায় বর্ণিত সময় থেকে কোম্পানিটির আর্থিক তারল্য বৃদ্ধি পাবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীপুর প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধ সহজতর হবে।