দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সিএসই এবার লেনদেনের পরিবর্তে প্যাকেজ কমিশনে যাচ্ছে। নানা চেষ্টা করেও লেনদেন বাড়াতে পারছে না চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। লেনদেন কমে যাওয়ায় ট্রেকহোল্ডারদের বার্ষিক কমিশন সর্বনিন্ম ৫ লাখ টাকা ও সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে সিএসই। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকেই নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সিএসই। স¤প্রতি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, সিএসইর পরিচালনা পরিষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ গত অর্থবছর পর্যন্ত লেনদেনের ভিত্তিতে কমিশন আদায় করা হতো।

এদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এখনো লেনদেনের ভিত্তির ওপর কমিশন আদায় করছে। অন্যদিকে সিএসই সদস্যদের নির্ধারিত হারে কমিশন দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সিএসইর ছোট ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

ট্রেকহোল্ডাররা বলছেন, লেনদেনের ওপর কমিশন ধার্য না করে নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেয়া অযৌক্তিক। কেউ যদি লেনদেন না করতে পারে, সে ক্ষেত্রেও তাকে বছরে ৫ লাখ টাকা কমিশন দিতে হবে। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হস্তক্ষেপ চান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক বলেন, যারা কম লেনদেন করে এমন ট্রেকহোল্ডারদের সক্রিয় করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর যারা ভালো লেনদেন করে তাদের আরো উৎসাহিত করার জন্যই নতুন সিদ্ধান্ত। এতে করে ব্রোকারেজ হাউসগুলো বেশি লেনদেনে মনোযোগী হবে।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর সাবেক সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ বলেন, তাদের সর্বোচ্চ ফি ১২ লাখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা বেশি লেনদেন করলেও ১২ লাখের বেশি দিতে হচ্ছে না। এতে অনেকে আরো বেশি লেনদেন করার চিন্তা করবে। আর যারা নিষ্ক্রিয় তারাও চেষ্টা করবে যেন কমিশন চার্জ উঠাতে পারে।

সিএসই সূত্র বলছে, বর্তমানে ১৪৮টি ট্রেকহোল্ডার আছে তাদের অধিকাংশই এখন নিস্কিয়। এদের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম অঞ্চলের ট্রেকহোল্ডার। মাত্র ৩০-৩৫টি ট্রেকহোল্ডার সক্রিয়ভাবে লেনদেন করছে। অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার, আবার সিএসইরও ট্রেকহোল্ডার। তাদের অনেকেই সিএসইতে লেনদেন করতে মনোযোগী নয়। অথচ নিস্কিয়রা বছর শেষে স্টক এক্সচেঞ্জের লভ্যাংশ নিচ্ছে সমান হারে।