আমিনুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো নজিরবিহীন রাজস্ব কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজস্ব অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তালিকায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু তদন্তে এসব কোম্পানির রাজস্ব অনিয়মের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এনবিআর বিব্রত।

অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ফাঁকি দেয়া অর্থ আদায় করা যাচ্ছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সার্বিক রাজস্ব আদায়ে। সন্দেহ করা হচ্ছে, রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত বিপুল অর্থের বেশির ভাগই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী, অনিয়মের শীর্ষে আছে গ্রামীণফোন এবং ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লি. (বিএটিবি)। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই এ দুটি প্রতিষ্ঠান দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী হিসেবে বিবেচিত। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্র স্বীকার করেছে, সর্বোচ্চ অঙ্কের রাজস্ব দিয়েও অভিযুক্ত ১৪ বহুজাতিক কোম্পানি সেরা করদাতার সম্মান থেকে বঞ্চিত। আয়কর ও ভ্যাট কোনো খাতেই এসব কোম্পানিকে সম্মান দেয়া যাচ্ছে না। অপবাদের বোঝা কাঁধে নিয়ে তারা কলঙ্কিত হলেও অনিয়ম থামছে না। প্রতি বছরই অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর নতুন নতুন অনিয়ম আর ফাঁকি উদ্ঘাটিত হচ্ছে।

একাধিক তদন্ত এবং নিরীক্ষায় দেখা গেছে, বিএটিবি, গ্রামীণফোনসহ অধিকাংশ নামিদামি বহুজাতিক কোম্পানিই দেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত। আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়েই রাজস্ব অনিয়ম বেশি উদঘাটিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতায় এ বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় আইনি জটিলতায় বকেয়া আদায় বিলম্বিত হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বহুমুখী প্রতারণা, জালিয়াতি, উৎপাদন ও বিক্রি কম দেখানো, কাগজপত্রে মিথ্যা তথ্য এবং ঘোষণা প্রদান, অবৈধ রেয়াত নেয়াসহ নানা কায়দায় রাজস্ব ফাঁকি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এ কৃতিত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব বহুজাতিক কোম্পানি।

তারা এ পুরস্কার দাবিও করছে না। সুনাম বা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অবজ্ঞা করে অতিরিক্ত মুনাফা এবং সরকারকে ফাঁকি দেয়াই এসব কোম্পানির লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ দেশ সেরা ও সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী হিসেবে সম্মান পাচ্ছে তুলনামূলক অখ্যাত এবং কম রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, যা বিব্রতকর। আইনে রাজস্ব অনিয়মে জড়িত হলে এবং এজন্য সরকারের পাওনা পরিশোধ না করার দুর্নাম থাকলে রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা পাওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এ দেশে ভালো ব্যবসা করে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। তারা দেশের পুঁজিবাজারে এলে বাজারের গভীরতা ও ব্যাপ্তি বাড়ত। পুঁজিবাজারমুখী হতো বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও। লাভবান হতো সংশ্লিষ্ট কম্পানি, দেশ ও সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশে চার শতাধিক বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা করলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মাত্র ১৩টি। বাধ্যতামূলকভাবে পুঁজিবাজারে আনার মতো কোনো আইন না থাকায় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও পাশের দেশ ভারত বা পাকিস্তানে পুঁজিবাজারে এসব কোম্পানির অনেকগুলোই তালিকাভুক্ত।

সূত্র বলছে, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকারকে কর দেওয়ার পর বহুজাতিক কোম্পানির মুনাফার বিপুল অর্থ চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে মুনাফার একটি অংশ দেশের বিনিয়োগকারীরা পেত, যা দেশের অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারত। দেশে যে ১৩টি বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত, এর একটি ভোগ্য ও সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহার্য পণ্যের অন্যতম সরবরাহকারী ম্যারিকো বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এই কম্পানির পণ্যের ব্যাপক গ্রাহক চাহিদা থাকায় প্রতিবছরই বাড়ছে মুনাফা।

আর মুনাফা বাড়ায় বছর শেষে শেয়ারহোল্ডারও পাচ্ছে বিপুল অঙ্কের নগদ লভ্যাংশ। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, শেয়ারহোল্ডারদের ৬০০ শতাংশ নগদ লভাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আর বহুজাতিক কম্পানি হওয়ায় পুঁজিবাজারের ১০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ৬.৭৯ শতাংশই বিদেশি বিনিয়োগকারীর। বাকি ৩.২১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম এক হাজার ৭৭০ টাকা। বর্তমানে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে দামি শেয়ার রেকিট বেনকিজারের।

এর একটি শেয়ারের দাম দুই হাজার ৪৭৪ টাকা। প্রায় ২৭ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছেড়েছে কম্পানিটি, যাতে সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশিদেরও বিনিয়োগ রয়েছে। ২০১৮ সালে কম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৭০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০০৯ সালে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর কম্পানি গ্রামীণফোন। শেয়ার কেনাবেচায় মুনাফার পাশাপাশি ২০১৮ সালে শেয়ারহোল্ডাররা ২৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট বহুজাতিক কোম্পানি ১০ শতাংশ করছাড় সুবিধা পাবে আর বিনিয়োগকারী ওই কম্পানিতে বিনিয়োগ করে মুনাফার অংশ পাবে। বিনিয়োগকারী উপকৃত হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আগ্রহ বেশি থাকায় সবচেয়ে বেশি দাম বহুজাতিক কম্পানির শেয়ারের।

কোনোটি দুই হাজার টাকার বেশি, আবার কোনোটি দেড় হাজার টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বছর শেষে লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক এগিয়ে আছে বহুজাতিক কম্পানি। তালিকাভুক্ত হওয়া বহুজাতিক কম্পানি ও বিনিয়োগকারী উভয় দিক থেকেই সম্ভাবনাময় হলেও পুঁজিবাজারকে পাশ কাটিয়েই চলছে বহুজাতিক কম্পানিগুলো।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, ‘স্বল্প মূলধনের একাধিক ছোট কম্পানিকে তালিকাভুক্ত না করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনলেই হয়। করপোরেট করের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ছাড়ের পাশাপাশি প্রণোদনা দিয়ে হলেও তাদের আনতে হবে। কারণ পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে বহুজাতিক কম্পানির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বিদেশি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। দেশে ব্যবসা করা সব কোম্পানিকে ডেকে আলোচনা করতে পারে সরকার।’

বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারের ব্যবসা রয়েছে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। দেশের ভোগ্য পণ্যের বাজারে বড় অংশ এখন কম্পাটির দখলে। এই কম্পানি ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) ও বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) তালিকাভুক্ত, কিন্তু বাংলাদেশে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করলেও তারা পুঁজিবাজারে আসেনি।

প্রাকৃতিক গ্যাসের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরন বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ব্যবসারত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই কম্পানির মুনাফা সবচেয়ে বেশি। তবু তারা পুঁজিবাজারের বাইরেই রয়ে গেছে। বহুজাতিক নেসলে বাংলাদেশসহ ১৯৮টি দেশে ব্যবসা করছে। ভারতের বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) তালিকাভুক্ত তারা। ২৫ বছর ধরে খাদ্য ও বেভারেজ পণ্যের চাহিদা পূরণ করে ভালো মুনাফা করলেও প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বা চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে আসছে না।

সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক আইনের আওতায় বিদেশি চার শতাধিক কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। মুনাফার দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে কোম্পানিগুলো। কোটি কোটি টাকার মুনাফা করলেও তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। পাশের দেশ ভারতে ব্যবসা করতে হলে বহুজাতিক কম্পানিকে নির্দিষ্ট সময়ের পর পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়ার (অফলোড) করার নীতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো আইন বা নীতি এখনো হয়নি।

তবে সূত্র বলছে, সরকার দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে জোর দেওয়ায় বিদেশি কম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে কোনো চাপ দিচ্ছে না। আর এ জন্যই দীর্ঘ দুই দশক ধরে বিদেশি কম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে আলোচনা চললেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনার ক্ষেত্রে আমাদের বাধ্যতামূলক কিছু নেই।

ভারতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবসা করার পর বিদেশি কম্পানিকে পুঁজিবাজারে শেয়ার অফলোড করতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘বহুজাতিক কম্পানি এলে বাজারের গভীরতা ও পরিধি বাড়ে। বাজারের স্বার্থেই বিদেশি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা উচিত। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ বিষয়ে সব সময় ইতিবাচক। সরকার বর্তমানে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার চাইলে বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা যেতে পারে।’

সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারের সাড়ে তিন শ কোম্পানির মধ্যে বহুজাতিক ও বিদেশি কম্পানি ১৩টি। বাজার মূলধনের (মার্কেট ক্যাপিটাল) হিসাবে বিদেশি কম্পানিগুলোর অবদান ২৫ শতাংশ। আর বিদেশি কম্পানির ২৫ শতাংশ বাজার মূলধনের মধ্যে এককভাবে গ্রামীণফোনেরই রয়েছে ১১.০৮ শতাংশ। বহুজাতিক কম্পানিগুলোর আর্থিক হিসাব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত দুই বছরে কোনো কোনো বিদেশি কম্পানি ৬০০ কিংবা ৭০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। দেশের তালিকাভুক্ত কোনো কম্পানিই এমন বড় অঙ্কের লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

চীনের প্রথম সারির শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের যৌথ কনসোর্টিয়াম কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২৫ শতাংশ মালিকানা কিনেছে। জোটটি শেয়ারে বিনিয়োগের পাশাপাশি ৩৭০ কোটি টাকার প্রাযুক্তিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। এতে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারী আসার ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. আবু আহমেদ। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ারের জোগান বড় চ্যালেঞ্জ।

আবু আহমেদ বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবে? ভালো কোম্পানির শেয়ারের জোগান আছে কি? সেটা নিশ্চিত করতে না পারলে বিদেশিরা তো শূন্যের ওপর বিনিয়োগ করবে না। বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী দেশে অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত, যারা বাংলাদেশেও ব্যবসা করছে, কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে আসছে না। প্রয়োজনে আইনকানুন কিংবা করে ছাড় দিয়ে হলেও তাদের পুঁজিবাজারে আনতে হবে। তাহলে পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরবে।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, ‘ভালো কোম্পানির শেয়ারের জোগান ছাড়া বিদেশিদের আকৃষ্ট করা যাবে না। আমরাও চাই পুঁজিবাজারে ভালো কম্পানির শেয়ার আসুক। এ ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, ‘চীনা জোট স্টক এক্সচেঞ্জে আসার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ প্রথম সারির এই দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কিছু নিজস্ব প্রশিক্ষিত বিনিয়োগকারী রয়েছে, যারা বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করে। পুঁজিবাজারে বিদেশিদের আনতে হলে ভালো শেয়ারের জোগান নিশ্চিত করতে হবে। বহুজাতিক ও সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে উদ্যোগী হতে হবে।’