৭ ব্রোকারহাউজ গ্রাহকের পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের দুই স্টক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ৭ সদস্য প্রতিষ্ঠান গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠঅন ৫টি, আর সিএসইর ২টি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। আজ মঙ্গলবার বিএসইসির ৬৫৫তম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সূত্র মতে, ডিএসই ও সিএসইর বিশেষ নিরীক্ষায় আলোচিত সদস্য প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকারহাউজে হিসাবের বড় ধরনের গড়মিল ধরা পড়ে। দেখা যায়, আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকদের সম্মিলিত হিসাবে যে পরিমাণ অর্থ থাকার কথা, তা নেই। ব্রোকারহাউজগুলো হয় গ্রাহকদের টাকায় নিজেরা ব্যবসা করছে অথবা তা অন্য খাতে ব্যবহার করেছে।
এই সাত ব্রোকারহাউজের গ্রাহদের হিসাবে মোট ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ ৫ হাজার ৪০ টাকা ঘাটতি পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে কমিশন ব্রোকারহাউজগুলোকে গ্রাহকদের প্রাপ্য টাকা তাদের হিসাবে জমা করার কঠোর নির্দেশ দেয়। এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের টাকা তাদের হিসাবে জমা করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ২২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪১১ টাকা, জয়তুন সিকিউরিটিজ ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ টাকা, সার্প সিকিউরিটিজ ১২ কোটি ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮২ টাকা, লতিফ সিকিউরিটিজ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৯ টাকা, প্রিমিয়ার লিজিং সিকিউরিটিজ ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৩ টাকা,
এস আর ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬০৭ টাকা এবং ইস্টার্ন শেয়ারস এন্ড সিকিউরিটিজ ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩ হাজার ৮৭০ টাকা তাদের গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছে। এদিকে কমিশন ডিএসই ও সিএসইর ট্রেকহোল্ডারদের বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরীক্ষা করে।
এরপরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতি থাকা অর্থের ৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা সমন্বয় করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের পরিচালকদের নিয়ম বর্হিভূতভাবে গৃহীত ৭ কোটি ৯ লাখ টাকা আদায় করে দিয়েছে।