দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: লাইসেন্স বাতিল কেন করা হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর চিঠি পেল গ্রামীণফোন ও রবি। গতকাল বিকেলে অপারেটর দুটিকে টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠায় টেলিযোযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ব্যান্ডউইথ সীমিতকরণ ও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) বন্ধ করার পরে অপারেটর দুটিকে লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে এ চিঠি পাঠালো বিটিআরসি।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোনকে এবং ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা দাবি করে রবিকে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়।

বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়— গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বিটিআরসির কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই অপারেটর দুটির ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়। এরপর এই আদেশ প্রত্যাহার করে এনওসি দেওয়া বন্ধ করা হয়।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ২জি ও ৩জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য আজ এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ উল্লেখিত দুই অপারেটর অনুক‚লে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিটিআরসির একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, অপারেটর দুটি এরই মধ্যে টাকা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া পায়নি।

আরও জানা গেছে, গ্রামীণফোন বিটিআরসিতে যোগাযোগ করে টাকা দিতে চায় বলে জানালেও “পরিমাণ” উল্লেখ না করায় তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, রবি ১২ কোটি টাকা দিতে চায় জানালেও তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। জানা গেছে, রবি যে পরিমাণ টাকা দিতে সম্মত হয়েছে তা মোট পাওনার ১০ শতাংশের কম।