দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারের অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক। বিশেষ করে পুঁজিবাজারের বন্ড ও ইউনিট ফান্ড উন্নয়নে কাজ করতে চায় আন্তর্জাতিক এই উন্নয়ন সংস্থা। বাংলাদেশ জয়েন্ট ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (জেসিএপি) আওতায় বিশ্বব্যাংক এসব সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে সংস্থাটি। গত বুধবার ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংকের লিগ্যাল কনসালট্যান্ট লিনা সার্জ আইসিবি’র সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন।

এ সময় জেসিএপি’র কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় আলোচনা হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মেহজাবিন আফরিন এর কাছে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বৈঠক প্রসঙ্গে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন ও পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করছে জেসিএপি’র প্রকল্পের আওতায়। পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করছে।

বর্তমানে অল্প কিছু মার্চেন্ট ব্যাংক পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে রয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। এছাড়াও আইসিবি পরিচালিত প্রভিডেন্ড ফান্ড নিয়েও বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বাইরে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের জন্য বেশ কিছু বিষয়ে শৃঙ্খলা আনতে সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক। এজন্য সরকারের সঞ্চয়পত্র ও প্রভিডেন্ড ফান্ডের অবকাঠামো নিয়ে আলোচনা করেছে। এর আগে ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে তারা পুঁজিবাজার নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে সফররত প্রতিনিধি দল বিভিন্ন আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে কাজ করছে। তারা পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ও ট্রেজারি বন্ড চালুর বিষয়টি নিয়ে সার্বিক সহায়তা করবে। এ নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে কি-না তাও আলোচনা হয়েছে। সফরত প্রতিনিধি দলটি আইনি বিশেষজ্ঞ হওয়ায় তারা আইনগত বিষয়ের ওপর সবচেয়ে গুরুত্বারোপ করছে।

এ বিষয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বর্তমানে বন্ড মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজারে সরকারের বেশ কিছু বন্ড তালিকাভুক্ত থাকলেও এর কোনো কার্যকারিতা নেই। মূলত বন্ডগুলোর তালিকাভুক্তির বিষয়টির কোনো প্রতিফলন নেই বাজারে। তবে সরকারের সঞ্চয়পত্রের পাশাপাশি আইসিবি’র প্রভিডেন্ড ফান্ডের মতো ইউনিট ফান্ড গঠন করার বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করেছে প্রতিনিধি দল।