পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু হচ্ছে ৩১ মে, ফ্লোর প্রাইস থাকছে
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: অনেক শর্ত সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করার সম্মতি চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে কোন শর্ত শেষ পর্যন্ত লেনদেন চালু করা যাচ্ছে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার অংশ হিসেবে দেশের অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় পুঁজিবাজারও বন্ধ থাকে ৩০ মে পর্যন্ত।
অবশেষে আগামি ৩১ মে লেনদেন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এলক্ষ্যে ডিএসইর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ৩১ মে অফিসে যোগদান করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। রবিবার ডিএসইর চেয়ারম্যানের নির্দেশনার আলোকে মানব সম্পদ বিভাগ থেকে ডিএসইর সকল বিভাগের প্রধানের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসইর চেয়ারম্যান আগামি ৩১ মে থেকে লেনদেন চালুর জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে আগামি ৩১ মে থেকে ডিএসইর নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হবে। এলক্ষ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩১ মে অফিসে যোগদানের অনুরোধ করা হয়েছে। যা বিভাগ প্রধানদেরকে তার বিভাগের সবাইকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন…….
পুঁজিবাজারে ৩ ব্যাংকের মুনাফায় চমক
দুই ঘণ্টার ব্যবধানে মা-ভাইকে হারালেন এমপি নিজাম হাজারী
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানিয়েছেন, ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করে দেয়া হবে। শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকায় একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে। ব্যাংক খোলা থাকলে আমরা শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করে দেব। সেক্ষেত্রে বর্তমানে শেয়ারের যে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে তা বলবৎ থাকবে। বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটা থাকবে।’
রোববার বিভাগীয় প্রধানদের পাঠানো ডিএসইর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ডিএসইর চেয়ারম্যান আগামী ৩১ মে থেকে লেনদেন চালুর জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে আগামী ৩১ মে থেকে ডিএসইর নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩১ মে অফিসে যোগদানের অনুরোধ করা হয়েছে। যা বিভাগ প্রধানদেরকে তার বিভাগের সবাইকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন…….
১১ দিনেই রোগী সুস্থ, বিনামূল্যে ‘রেমডিভিসির’ দেবে বেক্সিমকো
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকারের সাধারণ ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেয়ারবাজারও ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। যা শুরু হয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে। তবে চলমান মহামারিতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজার চালু রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এই দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় সমালোচনা উঠেছে। ফলে স্টেকহোল্ডার বিনিয়োগকারীসহ সকল পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করার দাবি উঠেছে।
করোনাভাইরাসের কারনে সরকার সর্বপ্রথম গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারন ছুটি ঘোষণা করে। এরপরে প্রথম দফায় ৭দিন সাধারন ছুটি বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয় এবং দ্বিতীয় দফায় ৩দিন সাধারন ছুটি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করে। এরপরে ১১ দিন বাড়িয়ে সাধারন ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত, আরও ১০দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত এই ছুটি বর্ধিত করা হয়। যা ৫ম দফায় ১১দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল। আর সর্বশেষ ১৪ দিন সাধারন ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ধাপে ধাপে শেয়ারবাজারও বন্ধ ঘোষণা করেছে ডিএসই।