লাভেলো আইসক্রিম পুঁজিবাজারে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব আইসক্রিম কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এই অর্থ উত্তোলন করবে। ইতোমধ্যে কোম্পানিটি ১০ টাকা মূল্যে তিন কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে।
আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি প্লান্ট ও যন্ত্রপাতির জন্য ৯.০৪ কোটি টাকা, ফ্রিজার ক্রয়ের জন্য ৫.৭৮ কোটি, যানবাহন ক্রয়ের জন্য ২.০৬ কোটি, গুদামের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ১.৩২ কোটি এবং ব্যাংক লোন পরিশোধের মাধ্যমে ৯ কোটি টাকা খরচ করবে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে গতবছর কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৬.১৬ কোটি টাকা, যা তার আগের বছর ছিল ৪.২৫ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ২.৯৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৪০ কোটি টাকা ছিল।
আরও পড়ুন…….
পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহ নেই, ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
গত বছর কোম্পানির নিট আয় ছিল ৯২.২৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮.৪৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১০.০৫ টাকা। যা তার আগের বছরে ছিলো ৭.৮৭ টাকা।
কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৬৪.৯১ টাকা। প্রথম প্রান্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ছিল ৬১.২৩ কোটি টাকা, ইজারার ঋণ ২৫.৯৩ কোটি টাকা এবং স্বল্পমেয়াদী ঋণ ১৩.০৭ কোটি টাকা।
কোম্পানিটি আগস্ট ২০১১ সালে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং ২ জানুয়ারী ২০১৬ এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। কোম্পানি বাংলাদেশের একটি আইসক্রিম প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ছিল ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫৫ কোটি টাকা।
আইসক্রিম বাংলাদেশের একটি দ্রুত বেড়ে ওঠা শিল্প, যা প্রতি বছর ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের আইসক্রিম বাজারের সামগ্রিক মূল্য ১২শ কোটি টাকা। ইগলু এবং পোলার হ’ল এই শিল্পের দুটি প্রতিষ্ঠিত নাম, যারা বাজারের দুই- তৃতীয়াংশ ভাগ – ৬৬ শতাংশ শেয়ার দখল করে আছে। বর্তমানে, ইগলু বাজারের শীর্ষ স্থানে রয়েছে এবং বাজারের ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।