১৩ টাকার বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার ১ মাসে দ্বিগুন
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আবারো দুর্বল কোম্পানিগুলো ঘিরে কারসাজি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যেখানে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার তলানিতে পড়ে রয়েছে সেখানে বেক্সিমকো লিমিটেডের মতো শেয়ার ধারাবাহিক দর বাড়ার কারণ কি? এ প্রশ্ন এখন বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে। কোম্পানিটি গত তিন বছর ধরে নামমাত্রা ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়ে ক্যাটাগরি ধরে রাখছে। কোম্পানিটির মুনাফার পলিসি ভালো থাকলেও ২০১৭ সাল থেকে ধারাবাহিক লভ্যাংশ কমেছে। একই সাথে কমেছে মুনাফার পরিমান।
পুঁজিবাজারে ঘুরে ফিরে স্থিতিশীলতার আভাস
তবে বেক্সিমকো লিমিটেডের মতো কোম্পানি শেয়ার নিয়ে হঠাৎ কারসাজি চক্র মেতে উঠছে। বাজারে নানা গুজব রটিয়ে গত এক মাসে শেয়ারটির দর দ্বিগুন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতো এ ভাবে শেয়ার দর বাড়তে থাকলে ২০১০ সালের মতো বাজারে ফের ধস নামবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। এসব কারসাজি চক্র থেকে দূরে থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০২০ সালের ২০ জুলাই মাসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৩ টাকা। মাত্র ১ মাসের কম সময়ের মধ্যে শেয়ার দর বুধবার ২৫.৩০ টাকা এসে দাড়িয়েছে। গত তিন চার কার্যদিবসে কোম্পানিটির বিক্রেতাশূণ্য অবস্থায় লেনদেন হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক একচেঞ্জের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এমনকি দরবৃদ্ধির পেছনে কোন কারণ আছে কিনা তাও জানতে চায়নি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার টপটেন গেইনার বা দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। আজ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, বুধবার কোম্পানিটি সর্বশেষ ২৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটি ৪ হাজার ৬৯৫ বারে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৪৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।