বীমার সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে করতে হবে গ্রাহকবান্ধব: ড. এম মোশাররফ
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতিমুক্ত বীমাখাত গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র নতুন চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন। একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশায় জড়িত ছিলেন। যার কারণে খাতটির গুরুত্বও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। আর এ জন্য সোনার বাংলা গড়তে তিনি বীমাখাতের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছিলেন। খাতটির উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, বীমাখাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং দেশকে আরো এগিয়ে নিতে বীমাখাতের উন্নয়ন জরুরি। এজন্য বীমাখাতকে আমাদের অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। বীমাখাত নিয়ে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে সেটা দূর করতে হবে।
আইডিআরএ’র নতুন এই চেয়ারম্যান বলেন, বীমার সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। এজন্য বীমাখাতকে করতে হবে গ্রাহকবান্ধব। বীমা কোম্পানিগুলোকে শুধু ব্যবসা নয়, সেবার মানসিকতা জোরদার করতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই আইন মেনে বীমা ব্যবসা করতে হবে। সেবায় আনতে হবে নতুনত্ব।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। অর্থনীতি যত বাড়ে, ঝুঁকিও তত বাড়ে। পাশাপাশি বাড়ে বীমার গুরুত্ব। উন্নত অর্থনীতি গড়ে তুলতে বীমার বিকল্প নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, স্বাস্থ্যখাত, কৃষি, প্রাণী সম্পদ সব কিছুর উন্নয়নই এখন বীমার ওপর নির্ভরশীল।
তাই আমরা যারা বীমা পেশায় আছি, তাদের দায়িত্ব অনেক। শুধু নিজের স্বার্থ দেখলে হবে না, দেশের স্বার্থকে দেখতে হবে। যারা বীমা ব্যবসায় জড়িত, তারা সবাই দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদেরকে সৎ ও সেবামূলক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বীমাখাত অর্থনীতির বড় একটি খাত। তাই বীমাখাতের উন্নয়ন এবং খাতটিকে দুর্নীতিমুক্ত করা একার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সকলেকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা বীমাখাতের উন্নয়ন করতে সক্ষম হবো।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের মুখে বলেন তিনি বীমা পরিবারের সন্তান। এ জন্য তিনি বীমাখাতের উন্নয়নে আন্তরিক। সব ধরনের সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত। এই সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। বীমাখাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই দায়িত্ব পালনে সবাই আমাকে সহযোগিতা করবে, এটাই প্রত্যাশা।