৯ কোম্পানির শেয়ার সম্পদ মূল্য নেগেটিভ, বিনিয়োগ ঝুঁকিতে!
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ০৯ কোম্পানির কোন সম্পদ নেই। কোম্পানিগুলোর সম্পদ মূল্য নেগেটিভে অবস্থানে রয়েছে। তবে সম্পদ মূল্য না থাকলেও এই ০৯ কোম্পানির শেয়ার আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামপুর সুগার, জিলবাংলা সুগার, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, মেঘনা পেট, দুলামিয়া কটন, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, রেনউইক যঞ্জেশ্বর, আজিজ পাইপস এবং জেমিনি সি ফুড লিমিটেড। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শুধু আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ফেস ভ্যালুর নিচে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শ্যামপুর সুগার:কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ১০৬৭ টাকা ৭ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিলো ৭২ টাকা ৩৮ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩১ টাকা ৬০ পয়সায়। ডিএসইর সূত্রেকোম্পানিটি তালিকাভুক্তির ইতিহাসে কোন ডিভিডেন্ডের তথ্য পাওয়া যায়নি।
জিলবাংলা সুগার:কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ৭৪৮ টাকা ৫৩ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৪৭ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিলো ৪৪ টাকা ৭৩ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭২ টাকা ৬০ পয়সায়। ডিএসই থেকে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ডের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মেঘনা কনডেন্স মিল্ক: কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ৬৪ টাকা ৮২ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৫ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিলো ৫ টাকা ৪২ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ২০ পয়সায়।ডিএসইতেকোম্পানিটি তালিকাভুক্তির ইতিহাসে কোন ডিভিডেন্ডের তথ্য নেই।
দুলামিয়া কটন: কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ৩৬ টাকা ৭১ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিলো ৪৫ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭ টাকা ৬০ পয়সায়।ডিএসই থেকে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ডের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আইসিবি ব্যাংক: কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ১৭ টাকা ৮৬ পয়সা। সর্বশেষ ছয় মাসে (জানুয়ারি’-জুন’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিলো ৩২ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সায়।ডিএসইসূত্রেকোম্পানিটির ডিভিডেন্ডের কোন তথ্য মিলেনি।
রেনউইক যঞ্জেশ্বর: কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ১৫ টাকা ৪৩ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ১৫ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছর আয় ছিলো ২ টাকা ৫৯ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৪৯ টাকা ৯০ পয়সায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ডদিয়েছে।
আজিজ পাইপ: কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ১৪ টাকা ৭৬ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর আয় ছিলো ২৬ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬০ টাকা ৬০ পয়সায়। সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ডদিয়েছে।
মেঘনা পেট: কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ৪ টাকা ৪২ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিলো ২২ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকা ৯০ পয়সায়।ডিএসইর সূত্র অনুযায়ী কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির ইতিহাসে কোন ডিভিডেন্ডের তথ্য পাওয়া যায়নি।
জেমিনি সি ফুড: কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ রয়েছে ৬ টাকা ১ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৬ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিলো ৪ টাকা ৭৪ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪০ টাকা ৫০ পয়সায়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ ক্যাশডিভিডেন্ড দিয়েছিলো।