করোনার ট্যাবলেট শীঘ্রই বাজারে আসছে
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক অ্যন্ড কোর মুখে খাওয়ার করোনা ওষুধ তৈরি করে আলোড়ন তৈরি করেছে। গবেষকরা বলছেন, মুখে খাওয়া এ ওষুধ হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেকে আনবে। খবর সিএনএনের। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন তথ্য জানানো হয়। অংশীদার রিজেবাকের সঙ্গে নিয়ে মার্ক অ্যন্ড কোর যুক্তরাষ্ট্রে এ ওষুধের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চাইবে।
শীঘ্রই ওষুধটি বাজারে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো। অন্য দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুমোদন চাওয়া হবে জানিয়ে মার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস বলেন, ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। হাসপাতালে বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।
আগামী নভেম্বরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে ডেভিস জানান, ট্রায়ালে আগস্টের শুরু থেকে ৭৭৫ জন রোগীর ওপর এ গবেষণাটি চালানো হচ্ছে। এটি অধিকতর গবেষণার জন্য আরও ১৫৫০ জনকে অন্তর্ভূক্ত করতে চায় এবং এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ রাজি হয়েছেন।
বিবৃতিতে ডেভিস আরও দাবি করেন, করোনার নতুন এ ওষুধটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও কার্যকর। গবেষণা শেষে স্বাধীন কমিটির অনুমোদনের পর এবং এফডিএর সঙ্গে সমন্বয় করে এটি বাজারে আনার কথাও জানান তিনি। অপরদিকে মার্কের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি রোশ ও ফাইজারও কোভিডের মুখে খাওয়ার ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষের উদ্ভাবিত এ ট্যাবলেট সম্ভবত করোনার মুখে খাওয়া ওষুধের প্রথম হিসেবে স্বীকৃতি পাবে যদি দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ) অনুমোদন দেয়।
গবেষকরা দাবি করছেন- এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষ যত শিগগিরই সম্ভব এফডিএ-র সঙ্গে কথা বলবে। মেরেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা পরিকল্পনা করছি অন্য দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুমোদনের জন্য। ডেভিস বলেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।
মোলনুপিরাভির হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছেন এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। আগামী নভেম্বরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডেভিস। গবেষণা শেষে স্বাধীন কমিটির অনুমোদনের পর এবং এফডিএর সঙ্গে সমন্বয় করে এটি বাজারে আনার কথাও জানান তিনি। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আগস্টের শুরু থেকে ৭৭৫ জন রোগীর ওপর এ গবেষণাটি চালানো হচ্ছে।
ডেভিস আরও বলেন, এটি অধিকতর গবেষণার জন্য আরও ১৫৫০ জনকে অন্তর্ভূক্ত করতে চায় এবং এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ রাজি হয়েছেন। বিবৃতিতে ডেভিস বলেন, বছর শেষে এক কোটি উৎপাদন করতে আশাবাদী তারা, যেটি ২০২২ সালে আরও বাড়বে। সপ্তাহের শুরুতে মেরেক গবেষণার আরও তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে দাবি করে যে, এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও কার্যকর।