দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: কাতার বিশ্বকাপে অসাধারণ এক গল্প লিখে চলেছে মরক্কো। গল্পটা এখনো শেষ হয়নি, তবে এর অন্যতম নায়ক নিঃসন্দেহে আশরাফ হাকিমি। বিশ্বকাপের আগে কে ভেবেছিল, শেষ চারের লড়াইয়ে থাকবে আরব বিশ্বের এই দেশ? কিংবা কে ভেবেছিল, বড় বড় তারকাকে বাদ দিয়ে কাতারের মরুদ্যানে ফুল ফোটাবেন দুরন্ত হাকিমি।

চলমান বিশ্বকাপে একটা চোখ জুড়ানো দৃশ্য একাধিকবার দেখে ফেলেছে ফুটবলপ্রেমীরা। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর পর ভো দৌঁড়ে গ্যালারিতে থাকা মায়ের কাছে ছুটে যাচ্ছে হাকিমি, যেমনি একটি শিশু সমস্ত শক্তি একত্র করে তার প্রিয় জিনিসের পানে ছুটে যায়।

মরক্কো দলের প্রাণভোমরা আশরাফ হাকিমিও গোল করার পর মায়ের কাছে ছুটে যান একটা পাওনা বুঝে নেওয়ার জন্য, সেটা হলো চুম্বন। এ যেন মায়ের সঙ্গে তার অলিখিত চুক্তি। এর মাধ্যমে এক অসাধারণ অন্তর্গত শক্তি জমা হয় এই তারকার মনোজগতে। মরক্কোর ম্যাচ ছাপিয়ে মায়ের সঙ্গে তার এমন ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অলিগলিতে।

চব্বিশ বছর বয়সী আশরাফ হাকিমির মায়ের নাম সৈয়দা মৌহ। সন্তানকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য এই নারীর যে সংগ্রাম, সেটা যেন আক্ষরিক অর্থেই সিনেমার গল্প। হাকিমি নিজেই জানিয়েছেন, আমাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য মা মানুষের বাড়ি পরিষ্কার করে অর্থ উপার্জন করতেন। কারণ আমার হকার বাবার উপার্জিত অর্থে ভাইবোনদের সবার খাবার জোগাড় করা সম্ভব হতো না।

মরক্কো তারকার ভাষ্য, ‘মা আমার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সেটা অবর্ণনীয়। এমনকি আমার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে আমার অন্য ভাইদের কিছুটা হলেও বঞ্চিত করেছেন তিনি। আমার পরিবারের এই সংগ্রামই আমাকে মাঠে ত্যাগী হতে শিখিয়েছে।’