শিল্পের আমদানি সহজ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রফতানি এবং উৎপাদনমুখী শিল্প খাতের পরিবেশবান্ধব মূলধনী যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশের আমদানি মূল্য পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড (জিটিএফ) নামের এ তহবিল থেকে স্বল্প সুদে দেশীয় মুদ্রায় (টাকা) পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট বুধবার এই সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, রফতানি এবং উৎপাদনমুখী শিল্প খাতে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব মূলধনী যন্ত্রাদি এবং যন্ত্রাংশের আমদানি বা কেনার সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ তহবিল গঠন করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব মূলধনী যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশের আমদানিমূল্য পরিশোধের পর ব্যাংকের অর্থায়ন অথবা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশ কেনার বিপরীতে এ তহবিল হতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হবে।
পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার মেয়াদকাল হবে ৫-১০ বছর (প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী)। এই তহবিলের আওতায় একজন ঋণ গ্রহীতার ঋণ বা বিনিয়োগ-মূলধন অনুপাত হবে সর্বোচ্চ ৭০:৩০। তবে কোনও একক ঋণগ্রহীতা এ তহবিলের আওতায় কোনোভাবেই ২০০ কোটি টাকার অধিক ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবে না। খেলাপি ঋণগ্রহীতা পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে না। পর পর দুটি রফতানি বিল সম্পূর্ণ বা আংশিক অপ্রত্যাবাসিত থাকলে এ তহবিলের সুবিধা পাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক এক শতাংশ সুদে অর্থ দেবে এবং গ্রাহক পর্যায়ে সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। মেয়াদি ঋণ বা বিনিয়োগ পিএফআই ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ১ বছর। সব রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার আওতায় ঋণ দিতে পারবে। তবে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক এ তহবিলের অর্থ নিতে হলে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের কম হতে হবে।