দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বছরের প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্যদিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচক কিছুটা বাড়লেও আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। আজ দিনভর সূচক উঠানামা শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও।

তবে কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে ২০২৩ সালের প্রথম দু’দিন দরপতনের পর আজ ঘুরে দাঁড়ালো পুঁজিবাজার। তবে আস্থা ও তারল্য সংকটে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমে তলানিতে ঠেকেছে। ফলে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজার। আর তাতে পুঁজি হারা বিনিয়োগাকীদের মধ্যে চলছে শুধু হাহাকার। এ অবস্থায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে একটু ইতিবাচকভাবে পার করেছেন তারা।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারে মুল সমস্যা আস্থা সংকট। তারল্য সংকটের চেয়ে বেশি আস্থা সংকটের ফলে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। বিশেষ করে বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট চরমে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্রুত বাজার স্থিতিশীল না করতে পারলে বিনিয়োগকারীদের আাস্থা সংকট চরম পৌঁছবে। তাই যে কোন মুল্যে বিএসইসির আস্থা সংকট ও তারল্য সংকট দুর করা উচিত।

বিনিয়োগকারীরা আরো বলেন, আস্থা সংকটের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নতুন করে বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই বাজার ঘুরে দাঁড়ালো অধিকাংশ বিনিয়োগকারী নতুন করে বিনিয়োগমুখী হবে। এখন বিএসইসি কী ভাবে বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করবে এটাই দেখার বিষয়।

জানা গেছে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭.১৮ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৮৫.০৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.২১ পয়েন্ট বা ০.০৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৭৩ পয়েন্ট বা ০.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫২.২৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯২.১৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ ১৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ১৪৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৪টির বা ১৩.২৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১১৯টির বা ৩৫.৮৫ শতাংশের এবং ১৬৯টির বা ৫০.৯০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০.৭৩ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৭৯.৪৬ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১৭০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪১টির আর ১০২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।