আমরা পালাব না, প্রয়োজনে ফখরুলের বাসায় গিয়ে উঠব: কাদের
আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব পালিয়ে আছেন আপনারা, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে পালিয়েছে লন্ডনে। আমরা পালাতে জানি না। এই দেশেতে জন্ম আমার এই দেশেতে মরি। প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব।’ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠের জনসভায় আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছে লন্ডনে। সাত বছরের দণ্ডিত পলাতক আসামি আপনাদেরই নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পালিয়ে যায়, আমরা পালাতে জানি না।
এই সময় তিনি (হাসিমাখা মুখে) বলেন, পালাব না, কোথায় পালাব, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব। কি জায়গা দেবেন। না হলে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি আছে না। ওই বাড়িতে গিয়ে উঠব। ঠিক আছে?
কাদের বলেন, বড় জ্বালা, জ্বালা। অন্তর জ্বালা। জ্বালায় জ্বালায় মরে। পদ্মা সেতুর জ্বালা যেতে না যেতে আরেক জ্বালা, কি জ্বালা! মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের পর আরেক জ্বালা আসছে বঙ্গবন্ধু টানেল। নদীর তলদেশে টানেল। জ্বালারে জ্বালা অন্তর জ্বালা। যেদিকে তাকায় উন্নয়ন। উন্নয়ন। রাজশাহী শহর গ্রিন সিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে শেখ হাসিনার উন্নয়নে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তো কি খবর রেডি? খেলা হবে? হবে খেলা। খেলা হবার আগেই তো পালানোর শুরু করেছে, আগেই তো মরণযাত্রা শুরু করেছে। খেলা তাহলে হবে। আন্দোলনে হবে, নির্বাচনে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, খেলা হবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে হত্যা-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, খেলা হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, খেলা হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। প্রস্তুত?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা। খবর আছে? তৈয়ার হয়ে যান, রেডি হয়ে যান। বিএনপির এখনো শিক্ষা হয়নি। শিক্ষাটা পাবে যখন আগামী নির্বাচনে আবারও পরাজয়ের মুখ দর্শন করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকের এই জনসভা জনসভা নেই, জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এই মাঠে যত লোক, তার ১০ গুণ মাঠের বাইরে আছে। প্রিয় ভাই এবং বোনেরা। আজ এই রাজশাহীর মহাসমাবেশে আপনাদের কি মনে আছে, কিছুদিন আগে বিএনপি এখানে একটা সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশ আর আজকের সমাবেশ রাজশাহীবাসী, সারা বাংলাদেশ আজকে দেখছে। বিএনপি লাল কার্ড দেখায়, ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন বলে, ৩০ ডিসেম্বর সরকার চলে যায়, ১১ই জানুয়ারি সরকার আর নেই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কি সরকার আছে, শেখ হাসিনা আছে, আছে? বিএনপির এখন কি পদযাত্রা, পদযাত্রা মানে শেষযাত্রা, পদযাত্রা মানে অন্তিম যাত্রা, পদযাত্রা মানে পেছন যাত্রা, পদযাত্রা মানে মরণযাত্রা। মরণযাত্রা শুনেছেন না, হ্যাঁ ওই মরণযাত্রা হচ্ছে এখন বিএনপি।