বিমা কোম্পানিতে পরিচালক নিয়োগে কড়াকড়ি আসছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিমা খাতে অনিয়ম ঠেকাতে নতুন নীতিমালার আওতায় আসছে। এ লক্ষ্যে বিমা কোম্পানিগুলোর পরিচালনায় প্রযোজ্য আইন ও প্রবিধানের পরিপালন বিষয়ে সংশোধিত নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এরই মধ্যে করপোরেট গভর্ন্যান্স নির্দেশিকার খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জনসাধারণ ও বিমা খাতসংশ্লিষ্টদের মতামত চায় আইডিআরএ। মতামত দেওয়ার জন্য গত রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু বিমা কোম্পানি লিখিত মতামত জানিয়েছে।
খসড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুজন নিরপেক্ষ পরিচালকসহ একটি বিমা কোম্পানির বোর্ডে পরিচালকের সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ২০। এ ছাড়া পরিচালক নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগের জন্য একটি সুস্পষ্ট পদ্ধতি থাকবে। আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত বা বাংলাদেশে কিংবা অন্য কোথাও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণখেলাপি বলে প্রমাণিত ব্যক্তি বিমা কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন না। এ ছাড়া ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত, জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিও পরিচালক হতে পারবেন না।
পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন কোম্পানির নন-এক্সিকিউটিভ পরিচালকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। প্রত্যেক পরিচালককে তাঁদের নিয়োগের ১৫ দিনের মধ্যে নিজের ও পরিবারের যেকোনো বিমা কোম্পানিতে থাকা শেয়ারের বিশদ বিবরণ আইডিআরএর কাছে জমা দিতে হবে। তিনি বা পরিবারের কেউ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পরিচালক অথবা সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে অধিষ্ঠিত হলে বিস্তারিত জানাতে হবে।
এ বিষয়ে আইডিআরএর মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খসড়া প্রকাশ করে জনসাধারণ ও অংশীজনে মতামত চাওয়া হয়েছিল। কিছু বিমা কোম্পানি মতামত দিয়েছে। কারণ, আলোচনার মাধ্যমেই সর্বোত্তম নীতি প্রণয়ন সহজ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মাইন উদ্দীন বলেন, করপোরেট গভর্ন্যান্স নীতিমালা বাস্তবায়ন করবে আইডিআরএ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা শক্তিশালী বা তাদের অভিপ্রায় ভালো না হলে শুধু নীতিমালা কোনো কাজে আসবে না।