দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।

আজ মঙ্গলবার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে), স্বাভাবিকভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোনো আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি এ দেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নি সন্ত্রাস। গাড়িতে আগুন, বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি এটুকু বলব যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীকেও বলব যে এই অগ্নি সন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জান-মাল আছে। ২০১৩, ১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নি সন্ত্রাস, ভুক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়।’ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।