এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আগের ও বতর্মান রেকর্ড ডেট উভয় বহাল
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণে আগের ঘোষিত রেকর্ড ডেট বহাল থাকবে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। কোম্পানিটির আগের রেকর্ড ডেট ৮ জানুয়ারী ও বর্তমান রেকর্ড ডেট ২৫ জানুয়ারী উভয় বহাল থাকবে বলে কোম্পানির ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে।
সুত্রে জানায়, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজকে আইপিওর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৯৫ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য অনুমতি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। পরবর্তীতে ওই বছরের ১০ অক্টোবর হতে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির বিডিং বা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। আর রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৮ জানুয়ারী।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে মূলধন সংগ্রহের জন্য অনুমোদন পাওয়া ওষুধ খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন শুরু হবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪; যা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত।
তথ্য অনুসারে, আইপিওতে আবেদনের জন্য প্রত্যেক তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে স্বদেশী বিনিয়োগকারীর ন্যুনতম ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। আর অনাবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ থাকতে হবে ন্যূনতম ১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ সীমাও একই। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতি শেয়ার ২০ টাকা মূল্যে পাবেন।
গত বছরের ১৫ জানুয়ারি ওষুধ খাতের কোম্পানিটির সম্পদের ভ্যালুয়েশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়া স্থগিত করে বিএসইসি। এরপর গত ২৮ নভেম্বর বিএসইসির ৮৮৯তম কমিশন সভায় আলোচ্য স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে বিএসইসির ৮৩৭তম কমিশন সভায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি।
২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী অনুসারে পুনর্মূল্যায়নসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৬১ পয়সায়, পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড়হারে কোম্পানিটির ইপিএস ৩ টাকা ২১ পয়সা।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না বলে শর্তারোপ করেছে বিএসইসি।