ব্যাংক ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে ভর করে ডিএসইতে সূচকের উত্থান
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা সাত কার্যদিবস পর সূচকের কিছুটা উত্থান হলেও কাটেনি আতঙ্ক। তবে ডিএসইতে সূচকের উত্থানের সাথে টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। মুলত ব্যাংক ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে ভর করে সূচকের উত্থান হয়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানেও কমেছে লেনদেন । ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর সূত্র মতে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৮৬২ কোটি ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ফলে ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের ব্যবধানে ৯৭ কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গত মঙ্গলবার ডিএসইতে ৭৬৪ কোটি ৬৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১৭.৮২ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৭৩.৯৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ০.৭৫ পয়েন্ট ০.০৫ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬০.৫২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭.৪৫ পয়েন্ট ০.৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৯.৫৭ পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৭টির, কমেছে ১৩৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৩১.৮০ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭৮৩.৫৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪.৯৫ পয়েন্ট বা ০.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫.২০ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.২৭ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৫১.৮৭ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৪৭.৭২ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪১৫.৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইতে ২৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ৯৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৯২ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার।