দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ব্যাংক-বিমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যারা ১ জুলাই ২০২৪ বা পরবর্তী সময়ে চাকরিতে যোগদান করবেন তারা সরাসরি সরকারি পেনশন পাবেন না। তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান কর্মরতদের পেনশন সুবিধা বহল থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বর্তমানে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চারটি স্কিম রয়েছে। তার সঙ্গে ‘প্রত্যয়’ নামে নতুন কর্মসূচি চালু হয়েছে। এই স্কিমের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদানকারীদের আনা হয়েছে।

সরকার যে চারটি স্কিম আগে চালু করেছে সেগুলো হলো- প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাস’, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মস্থান ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’ এবং নিম্নআয়ের লোকদের জন্য ‘সমতা’ স্কিম। এখন নতুন করে ‘প্রত্যয়’ নামে আরেকটি স্কিম চালু করা হলো। যাতে শুধুমাত্র স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদানকারীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন।

বহুল প্রত্যাশিত সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এই ব্যবস্থার আওতায় সরকারি চাকরিজীবী ব্যতীত দেশের সব কর্মক্ষম নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তারা নির্ধারিত হারে চাঁদা দিয়ে সর্বজনীন পেনশন সুবিধা নিতে পারবেন। এ নীতিমালা অনুযায়ী দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী প্রায় ১০ কোটি নাগরিককে পেশাভেদে ৬টি শ্রেণিতে ভাগ করে এই স্কিম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে শুধু সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান। দেশের সব কর্মক্ষম মানুষ পেনশন সুবিধার আওতায় ছিলেন না। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি হিসেবে সব নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রতিষ্ঠা করে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, সর্বজনীন পেনশনের আওতা আরও বাড়ানোর জন্য নতুন করে ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি চালু করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ জুলাই ২০২৪ সাল বা তার পরবর্তী সময়ে নতুন যোগদানকারীদের জন্য প্রত্যয় কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করা হলো। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে যারা বর্তমানে কর্মরত তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। তবে কেউ যদি আগ্রহী হন বা চান তারা সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন। তবে তাদের চাকরির বয়স অবশ্যই ১০ বছর পূর্ণ হতে হবে। প্রত্যয় কর্মসূচিতে সর্বনিম্ন টাকার পরিমাণ ২ হাজার ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।