পুঁজিবাজারের সরকারি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে অর্থবিভাগকে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির নির্বাহী সভায় (একনেক) তিনি এ নির্দেশ দেন। চলতি সরকারের আমলে এটি তৃতীয় একনেক সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা। সত্যজিৎ কর্মকার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন, শেয়ারবাজারে আমাদের যে সরকারি কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলো যাতে শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত হয়। অর্থবিভাগকে এ বিষয়ে কাজ করার জন্য অনুশাসন দিয়েছেন।
কি ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মধ্যে আনা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তিনি সব প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্তির কথা বলেননি। তিনি অর্থবিভাগকে বলেছেন, শেয়ারবাজারে উপযুক্ত হওয়ার বিষয়ে যাতে অর্থবিভাগ কার্যকর উদ্যোগ নেয়। অর্থসচিব যাচাই-বাছাই করবেন কারা কারা আসতে পারে, কোন কোন প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, সেটি বিবেচনা করে যাতে অর্থবিভাগ প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠায়।
সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, আজকের একনেকে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, আর উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়ন বিশেষ করে কইকা, বিশ্বব্যাংক ও চীনের অর্থায়ন ৩৬০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন সমাপ্তযোগ্য প্রকল্প আমরা যেন অল্প কিছু টাকা দিয়ে হলেও শেষ করি। ৩৩৯টি সমাপ্তযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে এবার ৫টি প্রকল্প মালামাল জুনের মধ্যে ইনস্টল করা যাবে না। এ কারণে ৫টি প্রকল্প বাদে বাকি ৩৩৪টি প্রকল্প ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে না জানিয়ে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নাম ব্যবহার করায় তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জানিয়ে সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন করেছেন। এ প্রকল্পে তার দুটি অবজারভেশন আছে। প্রথমত, শেখ হাসিনা নামটি বাদ দিতে হবে, দ্বিতীয়ত, প্রকল্পে মূর্যাল যেটি আছে সেটি বাদ দিতে হবে।
তবে মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন এ নাম পরিবর্তন করতে হলে এখন আইন পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তিনি প্রকল্পে তার নাম ব্যবহারের অনুমতি দেবেন না। এটি প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতা।
পরিকল্পনা সচিব বলেন, আরেকটি অনুশাসন তিনি দিয়েছেন, নদীতে যেসব ব্রিজ নির্মাণ করা হয় তা যাতে যথাযথ উচ্চতা মেনে নির্মাণ করা হয়। নদীর মূল স্রোতকে বাধাগ্রস্ত করবে এমন কোনো জায়গায় ব্রিজ নির্মাণ করা যাবে না।