ওষুধ-রসায়ন এবং বীমা খাতের শেয়ারে ভর করে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বীমা খাতসহ ও ওষুধ রসায়ন খাতের কয়েকটি ভালো মৌল ভিত্তি কোম্পানির শেয়ারে ভর করে ডিএসইর সূচকের উত্থান হয়েছে। মুলত দীর্ঘদিন পর বীমা খাতের শেয়ারের আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে সাড়ে ৩৫ পয়েন্টের বেশি। ফলে পুঁজিবাজার উঠানামার মধ্যে দিয়ে স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। যে কারণে ধীরে ধীরে গতি ফিরছে সূচক ও লেনদেনে।
তাই স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের দাবী জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ এর আগেও কয়েকবার বাজার বড় উত্থানের আভাস দিলেও টেকসই হয়নি। এবার যেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকে সেই প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের। এছাড়া দরপতন কাটিয়ে চাঙা পুঁজিবাজারে ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বাজারের নীতি নির্ধারকরা অনেকটা চাপের মুখে পড়েছেন। কারণ বাজার ভালো করতে না পারলে সরকারি কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনা যাবে না। কারণ বিনিয়োগকারীদের ভালো রেসপন্স না থাকলে কোম্পানিগুরোর ভালো শেয়ার দাম পাওয়া যাবে না।
বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সরকারি শেয়ার বাজারে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন, সেহেতু এখন সরকারি শেয়ার তালিকাভুক্ত করতে হবে। আর সরকারি শেয়ার বাজারে আনতে হলে বাজার ভালো করতে হবে।
সূত্রটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশ দিয়েই ক্ষান্ত হন না, তিনি তারঁ নির্দেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মনিটরিং করেন। সুতরাং অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বাজারের প্রতি এখন বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। যাতে সামনে বাজার ভালো হয়।
বিএসইসির একটি সূত্র বলছে, বিএসইসি-তে নতুন কমিশন গঠিত হয়েছে। নতুন কমিশন বাজার ইতিবাচক রাখার নানামুখী কর্মকান্ড নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। কমিশন হয়তো খুব শিগগির সব শ্রেণির অংশীজনদের বাজারমুখী করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২৬ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৬ টির, দর কমেছে ১৫৯ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫ টির। ডিএসইতে ৯৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৩২ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৮ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০১টির এবং ৩৩ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।