উত্থান পতনের পুঁজিবাজারে বীমা খাত ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাপট
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের দরপতন হলেও দাপট দেখিয়েছে বীমা খাদ ও মিউচুয়াল ফান্ড। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৮৬ শতাংশ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলো দাপট দেখালেও তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি অন্য খাতের কোম্পানিগুলো। দাম বাড়ার দিকে বাকি খাতগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এরপরও বাজারটিতে মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সিএসইতে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছে বিমা খাত। বাজারটিওত প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থার মধ্যে পার করেছে। ফলে পুঁজিবাজারে চলছে তারল্য সংকট। সাম্প্রতিক সময় পুঁজিবাজারে ক্রয়ের তুলনায় শেয়ার বিক্রি হচ্ছে বেশি। এ সংকট থেকে বের হয়ে আসতে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে বাজারে অর্থের জোগান দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজারে তারল্য সংকট দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হলে বাজারের চিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪১ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৭ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৩ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫ টির, দর কমেছে ২২১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭ টির। ডিএসইতে ৯৬৮ কোটি ২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৫২ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৭ টির এবং ৩০ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।