গেইন ট্যাক্স ইস্যু দেখিয়ে পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করছে কারা!
মনির হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্য সূচক। ফলে দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ততো ভারী হচ্ছে। আতঙ্কে অনেকে লোকসানে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন। ফলে দরপতন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে এমন টানা দরপতন হওয়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ একটি চক্র গেইন ট্যাক্স ইস্যু দেখিয়ে পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ লেনদেন শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় প্রায় ৩ শত কোম্পানির শেয়ার ৩ শতাংশ কি ভাবে কমে। ভালো মৌল ভিত্তি কোম্পানির শেয়ার মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় কোন কোন ব্রোকারেজ হাউজগুলো সেল প্রেসার দিচ্ছে খুঁেজ বের করা উচিত বলে তারা মনে করেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৮৯ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮১ টির, দর কমেছে ২৭৮ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০ টির। ডিএসইতে ৫৬১ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৫২ কোটি ৩ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬০৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৬ টির এবং ২১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।