ঢাকাবাসীর জীবনযাপন সহজ করতে কাজ করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকাবাসী যাতে সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে, সে জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ মে) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর তিনি এ কথা বলেন।
প্রকল্পগুলো হলো- বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ ফজলুল হক মণি সরণি’, ধানমন্ডি লেকে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই এলাকার বিশেষ করে পুরান ঢাকার মানুষ উপকৃত হবে এবং তারা সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবে। এই প্রকল্পগুলো নতুনভাবে বাঁচার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ধিত ঢাকার জনগণ যেন যথাযথ সেবা পেতে পারে, সে জন্য নগরীকে তিনি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। যেগুলো ইউনিয়ন ছিল, সেগুলোকেও সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঠিকানাবিহীন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসন সমস্যা দূরীকরণে তার সরকার আবাসিক ফ্ল্যাট ও সম্মানজনক পদবির ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরের পূর্ব-পশ্চিমে রাস্তাই ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার সেসব রাস্তা, ওভারপাস, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বাঁধের ওপর রাস্তা, বুড়িগঙ্গা বেড়িবাঁধ করে দিয়েছে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যেগুলো বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। আন্তঃজেলা যোগাযোগ সহজ করতে আমরা ঢাকায় একটি রিংরোড নির্মাণ করতে চাই।
সরকারপ্রধান বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এখান থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জ নেওয়া হয়েছে। পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার, যেখানে জাতির পিতা দীর্ঘদিন বিভিন্ন সময় বন্দি ছিলেন, যেখানে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ফাঁসির মঞ্চ, যেখানে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর হাজার হাজার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, সৈনিক, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফাঁসি দিয়েছিল।
আর ব্রিটিশ আমল থেকেই অনেক দেশপ্রেমিককে সেখানে ফাঁসি দেওয়া হয়। সেই জায়াগাসহ সব স্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে স্কুল এবং পার্ক করে সৌন্দর্যবর্ধন এবং বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবেই এ এলাকার মানুষ যাতে ভালোভাবে থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করেছি।’
শেখ হাসিনা বঙ্গবাজার পুনর্নির্মাণের পর ব্যবসা চালু রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, এর আগে তিনি মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজার বাজারের ব্যবসায়ীদের অনুদান দিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম। সূত্র: বাসস