তিনবারের চেষ্টায় এমপি আনারকে হত্যা, আসামীদের টার্গেট ছিল হত্যার গেইম
বিশেষ প্রতিনিধি ও কালীগঞ্জ সংবাদদাতা, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রিমান্ডে মুখ খুলতে শুরু করেছে খুনিরা। বেরিয়ে আসছে রহস্যময় নাম। রাজনীতিবিদ থেকে প্রভাবশালী, বাদ যাচ্ছেন না যেন কেউই। তবে এরা আদৌ জড়িত কি না, তাতে গোয়েন্দাদের সন্দেহ রয়েছে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকান্ডে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না গোয়েন্দাকর্তারা।
তবে ভয়ংকর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহিনকে আইনের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা-ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে পুলিশ। পুলিশ বলছে, মাস্টারমাইন্ড শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসবে। অন্যদিকে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার তদন্তে রোববারের মধ্যে মহানগর গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম ভারতে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মুলত ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউনের ভাঙড় এলাকার নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদ। আর এই কাজের বিনিময়ে ৫ হাজার রুপি পেয়েছে সে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ এসব কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন হিন্দুস্তান টাইমস। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, লাশের টুকরোগুলো যেহেতু জলাশয়ে ফেলা হয়েছে তাই সব অংশ উদ্ধার করা কঠিন।
পুলিশের গোয়েন্দাসূত্র বলছে, এমপি আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিহাদ জানিয়েছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকারীদের নজরে এসেছেন বাংলাদেশের বাসিন্দা সেলেস্তা রহমান নামে এক তরুণী। খুনের দিন সম্ভবত তিনিই আনোয়ারুলকে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সেলেস্তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ঢাকা পুলিশ।
সূত্র মতে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে এর আগেও দুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। প্রথমবার জাতীয় নির্বাচনের আগে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তারা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় বারও ব্যর্থ হয় আক্তারুজ্জামান শাহীন ও আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। সেবার চলতি বছরের ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি আনোয়ারুল কলাকাতায় যান। সেই সময়ে হত্যাকারীরাও তাকে খুনের উদ্দেশ্যে কলকাতায় যান।
কিন্তু হোটেলে থাকার কারণে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। তৃতীয় ধাপে তারা এসে সফল হয়। শনিবার রাজধানীতে ডিবির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হারুন জানান, হত্যাকাণ্ডের মদতদাতা আক্তারুজ্জামান শাহীন গত ৩০ এপ্রিল তিন জন নিয়ে কলকাতায় যান। সেই দলে একজন নারীও ছিলেন।
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে বুঝিয়ে দিয়ে শাহীন ১০ মে পর্যন্ত কলকাতায় অবস্থান করে দেশে চলে আসেন। এসময় গ্রেফতারদের কাছ থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার কথা জানান হারুন। ভারতীয় পুলিশ এখানে কাজ করছে। তাদের কাজ শেষ হলে ডিবির সদস্যরাও কলকাতায় চলে যাবো।
কী কারণে এমপিকে হত্যা করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, এ হত্যার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কী কারণে হত্যা সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে হত্যার মূল কারণ উদঘাটন করা যাবে। তিনি জানান, আগেও আনোয়ারুলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তখন তারা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় বার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৭ থেকে ১৮ তারিখ আনোয়ারুল কলাকাতায় যান। সেই সময়ে হত্যাকারীরা তাকে খুনের উদ্দেশ্যে কলকাতায় যান। কিন্তু হোটেলে থাকার কারণে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তৃতীয় ধাপে তারা এসে সফল হয়।
ডিবিপ্রধান জানান, তবে হত্যার আগে তাদের পরিকল্পনা ছিল আনোয়ারুলকে জিম্মি করা। এরপর তারা আপত্তিকর ছবি তুলে দুইদিন ব্ল্যাকমেইল করে হুন্ডির মাধ্যমে এবং কলকাতায় থাকা তার বন্ধুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কেকের টাকা আদায় করা। কিন্তু আনার কলকাতার ভাড়া করা ওই ফ্ল্যাটে যাওয়ার পরে তার মুখে ক্লোরোফর্ম (চেতনানাশক) ব্যবহার করায় তিনি জ্ঞান হারান। অজ্ঞান অবস্থায় আনারের আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। কিন্তু
তাদের মূল টার্গেট ছিল হত্যা করা।আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতীয় পুলিশের একটি দল ঢাকায় কাজ করছে। পাশাপাশি আমাদের হাতে গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দুটি বিষয় পেয়েছি। দুটি গ্রুপ এখানে কাজ করেছে। একটি গ্রুপ মদদ দিয়েছে, আরেকটি গ্রুপ হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে কাজ করেছে।
স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, নির্দিষ্ট কোনো কিছুই বলা যাবে না। তবে অনেকগুলো বিষয় আছে। তদন্ত শেষ করে আমরা আপনাদের জানাতে পারবো। হত্যার ঘটনায় কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, কিসের ভিত্তিতে হত্যার কথা বলা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা অনেক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করছি না। প্রমাণ পেয়েছি বলেই কলকাতায় হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দেশে একটি মামলা হয়েছে। কলকাতায় মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। নিশ্চই তারা আলামত পেয়েছে। কলকাতায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার তদন্তে আমারও যাবো।
এদিকে কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের লাশের টুকরোর সন্ধান পেতে আরও জোরদার করা হয়েছে তল্লাশি অভিযান। আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তি কসাই জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যায় ভাঙ্গড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকায় সেই লাশের টুকরো ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আর তারপর থেকেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে গত দুই দিন ধরে দফায় দফায় চলছে তল্লাশি অভিযান। এরই মধ্যে শুক্রবার বিকালে জিহাদকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
কৃষ্ণমাটি এলাকার জিরানগাছা বাগজোলা খালের পানিতে নামানো হয় কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের। কিন্তু তারপরেও খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই লাশের টুকরো। আর এবার সেই লাশের সন্ধান পেতে ওই খালে জাল ফেলা হয়। সাথে নামানো হয় নৌকাও। এদিন স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত সফলতা পায়নি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর সিআইডি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত কসাই জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে নিউ টাউনের সেই অভিজাত সঞ্জিভা গার্ডেনের ‘বিইউ-৫৬’ ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে গিয়ে খুনের ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে পারে।
শুক্রবারই কসাই জিহাদকে হাওলাদারকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর গোপালনগর এলাকা থেকে জিহাদকে গ্রেফতার করে সিআইডি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ।), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা।), ২০১ (তথ্য-প্রমাণ লোপাট) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য আসেন ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। ১৩ তারিখ নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন সাংসদ। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভারতের পুলিশ জানতে পারে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশেও তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার হয় কসাই জিহাদ ও সিয়াম। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও মুম্বাইতে কাজ করতেন জিহাদ।
জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আনোয়ারুলকে খুন করার পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল তারা। কিন্তু ধরা পড়ে গেছে। খুনের পর সাংসদের দেহ ৮০ টুকরো করে ভাঙড়ের জলাশয়ে ফেলা হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে সে। লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলাশয়ে তল্লাশি চলছে। তবে এখনও কিছুই উদ্ধার হয়নি।
ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত সিয়াম ও জিহাদ জানিয়েছেন, নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয় আনোয়ারুলকে এবং পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী বস্তু দিয়ে সাংসদের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তার পর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। খুনের পর হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে দেহের টুকরোগুলো নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়।
এদিকে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার কী কারণে খুন হয়েছেন, সর্বস্তরে বিষয়টি নিয়েই আলোচনা চলছে। যদিও এ ব্যাপারে সঠিক কোনও তথ্য দিতে পারেননি দলীয় নেতাকর্মীরা।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়েও স্থানীয় প্রশাসন থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ১ নম্বর সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছি। একজন সংসদ সদস্য পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে গিয়ে খুন হবে এমনটি ভাবিনি। তার মৃত্যুতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম, কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। কেন, কী কারণে তাকে খুন করা হলো—আমরা এই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যদি দলের কোনও লোক, আত্মীয়স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধব জড়িত থাকে অথবা ওই দেশের কেউ জড়িত থাকে, তাদের আমরা আইনের আওতায় আনতে চাই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি বলেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি চিকিৎসা নিতে ভারতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জানতে পারলাম তাকে মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পর তারা তৎপর ছিল। দুঃখজনক হলেও জানতে পারলাম তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটন হোক। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে জাতির সামনে তুলে ধরা হোক।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি (আজীম) গিয়েছিলেন কানের চিকিৎসার জন্য। তিনি আমাদের দলের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। ঘটনা শুনে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। বলার ভাষা নেই। দলীয়ভাবে আপনারা কী ভাবছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এযাবৎ বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাস আমাদের ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে। এ বিষয়ে এখনই আমি মন্তব্য করতে পারছি না।