দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জীবিকার তাগিদে অনেকেই দেশ এবং পরিবারের মায়া ত্যাগ করে টাকাউপার্জন করতে পাড়ি দেয়। সেই টাকা যদি কেউ আত্মসাৎ করে তখন তাদের বাঁচার মতো আর কোনো উপায় থাকে না। তখন তারা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। প্রবাসীদের সেই কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স আত্মসাৎ করেছেন উত্তরা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।

এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর উত্তরা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ এস. এম. জিয়াউর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে দেড় কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যা তাদের ব্যক্তিগত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য হবে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) রোকনুজ্জামান ও সেকেন্ড অফিসার মুক্তার হোসেন। তারা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ ছাড়া একই শাখার সাবেক হেড ক্যাশিয়ার নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি খালাস পেয়েছেন।

এর আগে, রেমিটেন্সের তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৬ মে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন ওই শাখার মহাব্যবস্থাপক আঞ্চলিক প্রধান খায়রুল আলম।

মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।