দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৫.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যদিও আগামী অর্থবছরে সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট শীর্ষক জুন মাসের প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধির হার খুব একটা বাড়বে না বলে তারা পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সেটা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। যদিও প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আগামী অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। শুধু তাই নয় সরকার মনে করছে মধ্য মেয়াদে দেশের প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে।

প্রবৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশে আমদানি নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে শিল্প কলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে সরকারি কেনাকাটা ও বিনিয়োগ থাকার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড একভাবে চলে গেছে, কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে মানুষের প্রকৃত মজুরি ও পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে।

এতে ব্যক্তি মানুষের ভোগ অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় সরকার দফায় দফায় নীতি সুদহার বৃদ্ধি করায় ঋণের সুদ আরও বেড়েছে। এতে সমাজের ভোগের চাহিদায় টান পড়েছে। ব্যাংকিং খাতে যে বিপুল পরিমাণ নিয়ে খেলাপি ঋণ তৈরি হয়েছে তা বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরিয়েছে।

তবে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে আসায় ব্যক্তি পর্যায়ের ভোগ কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক এবং সেই সঙ্গে বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে সামগ্রিকভাবে বিনিয়োগেও গতি আসবে। এদিকে বিশ্বব্যাংক বলেছে, গত তিন বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি এবারই প্রথম স্থিতিশীল হবে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৬ শতাংশ আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।