টানা দরপতনের পর উত্থানের আভাস দিয়ে ঈদের ছুটিতে পুঁজিবাজার
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা দরপতনের পর উত্থানের আভাস দিয়ে ঈদের ছুটিতে পুঁজিবাজার। ফলে শেষ দুই কার্যদিবসে উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের। ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষ্যে ১৪ জুন (শুক্রবার) থেকে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত মোট পাঁচদিন দেশের পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে। এসময় দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ও অফিসিয়াল কার্যক্রম হবে না।
তবে ১৯ জুন (বুধবার) থেকে যথারীতি পুঁজিবাজার এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অফিসিয়াল এবং লেনদেন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, পবিত্র ঈদুল আযহা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই ও অপর স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইর লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে চলতি বছরের ৫ মাস ১৩ দিনেই পুঁজিবাজারে সূচক উধাও ১ হাজার ১২৯ পয়েন্ট। এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের মূলধন উধাও হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি ২০২৪ বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ ৮৪৯ কোটি টাকা। মাত্র ৫ মাস ১৩ দিনের ব্যবধানে ডিএসইর সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১৭ পয়েন্টে এবং বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকায়। এই সময়ে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ হাজার ১২৯ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।
তবে পুঁজিবাজারে পতন প্রবণতা আরও শক্তিশালী হয় গত দুই মাস যাবত। এটি হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে। আসন্ন বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যক্স আরোপ করার গুঞ্জনকে কেন্দ্র করে পতনের তান্ডব শুরু হয়। এই সময়ে ডিএসইর সূচক পড়ে যায় ৭৫০ পয়েন্টের মতো।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪.৬১পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১৭ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭.১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮২১ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৪২৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৫০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার।আজ ডিএসইতে ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির। অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএই) আজ লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
এদিন সিএসইতে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরমধ্যে দর বেড়েছিল ৫৩টির, কমেছিল ১২০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।